নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ কাবিলের মোড়ে সকাল সাড়ে ১০ টার অনুষ্ঠান শুরু হয় সাড়ে ১২ টার পর। অনুষ্ঠানস্থলে অতিথিরা নির্ধারিত সময়ে আসলেও চেয়ার ছিল খালি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অনুষ্ঠানে কর্মীদের তেমন কোন উপস্থিত ছিল না। সাড়ে ১১ টার দিকেও চেয়ারে মাত্র ১৫/২০ জন দেখে অনেকটা রাগান্বিত হয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যেতে চায় জুয়েল হোসেন। পরে ছোট ছোট শিশুদের ডেকে ডেকে এনে চেয়ারে বসানোর দৃশ্য দেখে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। যে অনুষ্ঠানটি সুপার ফলোপ হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্র নেতা জুয়েল হোসেন বলেছেন, রাজনীতিটা করি মানুষের জন্য। আজ ২১ আগষ্টের ১৯ বছর পা রাখলাম।এর সুষ্ট বিচার হয়নি। এই আমাদের বাংলাদেশের অগ্নিকণ্যা শেখ হাসিনাকে মারা চেষ্টা করা হয়েছিলো। এর ৪৮ বছর ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশকে মুক্তি দেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। সেদিন মহান আল্লাহ রহমতে মানুষের দোয়া শেখ রেহানা আপা ও আমাদের সকলের নেত্রী শেখ হাসিনা বেচেঁ গিয়ে ছিলো। এই আগষ্ট মাস আসলে এই বাংলাদেশের উপর আঘাত করা হয়। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বলেন, ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলা বলেন, ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যা করায় সকল ঘটনাই একত্রে সূত্রে গাথাঁ।এর পিছনে যারা ছিলেন তারা স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এগুলো কারা করছে, কেন করছে, এগুলো আমাদের বুঝতে হবে-জানতে হবে। রাজনীতি করতে আসলে অনেক বাধাঁ আসবে, অনেক বাধাঁ অতিক্রম করে রাজনীতি প্লাটফর্ম তৈরি করে এসেছি এবং সকল বাধাঁ বিবর্তী নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত। আসলে আমাদের মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সেই প্লাটফর্মে তৈরি করেছি। আমি যখন রাজনীতি শুরু করেছিলাম, তখন এত আওয়ামীলীগার ছিলো না। সরকারী তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি অনেককে দেখেছি। আজ অনেকে বলে থাকে তুমি রাজনীতি করে কি পেয়েছো। আমি বলবো, আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শে একজন কর্মী হতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আসছে। অনেকে বলেছেন, সেখানে নির্বাচনে কিভাবে ভোট চাইবো। স্বাধীনতা প্রেত্মারা ও স্বাধীনতা বিরোধীরা অতীতে রাস্তায় বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে, বাসে আগুন দিয়ে আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে এবং ওরা বাইতুল মোকারম মসজিদে ও আগুন দিয়েছে। মানুষ হত্যা করেছে তারা আবারো নৈরাজ্যে করার প্ররিকল্পনা করছে। বাংলা স্বাধীনতা ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। আজকে আমাদের ভোট চাওয়ার অধিকার আছে। আমরা সরকারের থাকলে দেশের মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে। বিএনপি জামাত যখন ক্ষমতায় থাকেন তখন এ দেশের মানুষের উপর সিরিজ বোমা হামলা হয় ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় ১৫ই আগস্টের মতো কলঙ্কময় এক কালো অধ্যায় আসে। তাই ওরা বিরোধীদলকে গ্রেনেড হামলা করে, সিরিজ বোমা দেশের মানুষের ক্ষতি করে। খালেদা জিয়ার বিএনপি ও জামায়াতরা ক্ষমতা আসলে দেশের মানুষ সুন্দরভাবে চলাফেরা করতে পারে না। যারা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়েছে তারাই আব্রা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা গাড়িতে লাগায়। ওরা দেশের ক্ষমতা আসলে আমাদের মা বোনের ইজ্জত নিয়েছে ছিনিমিনি করেছে তাদের গাড়ী বাড়ীতে পতাকা লাগায়। আমাদের বুঝতে হবে, ওরা ক্ষমতা থাকলে মানুষ কিভাবে থাকে। আর আমরা ক্ষমতা থাকলে মানুষ উন্নত পরিণত হয়। আওয়ামীলীগ সরকার আসলে রাস্তা ঘাট উন্নত হয়। আজ আওয়ামীলীগ আছে বলে, আমাদের অর্থায়নে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নাসিম ওসমান সেতু হয়। আমাদের সরকার থাকলে আমাদের সকলের সন্তান বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্য বই পেয়ে যায়। আওয়ামীলীগ সরকার থাকলে, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে।

জুয়েল হোসেন আরও বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে আমাদের সকলের মিলে জনগণকে জানাতে হবে। আমাদের অভিভাবক শামীম ওসমান এমপির নারায়ণগঞ্জকে আমরা অনেক স্থানে পরিচয় দিতে পারতাম না। আমাদের একটি কলঙ্ক অধ্যায় ছিলো, সেখানে আমাদের মা-বোনদের টাকা বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রি হত। সেই কলঙ্ককে পরিস্কার করেছে এমপি শামীম ওসমান। এই কালো অধ্যায় থেকে নারায়ণগঞ্জ মুক্ত করতে গিয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিলো। তিনি উন্নয়ন করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জকে। ডিএনডি বাধঁকে উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনা সরকার যাদের বাড়ি ঘর সম্পত্তি নেই, তাদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। তিনি যে উন্নয়ন বাংলাদেশকে করে আজ বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আজকের যারা ২১ আগষ্ট, ১৫ আগস্টে যারা মারা গেছে, প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবো। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শামীম ওসমান জন্য সবাই দোয়া করবেন। বিএনপি জামায়াতের আগ্রাসন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে, বিশ্বের কাছে উন্নত বাংলাদেশ রূপান্তর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করেছে ওরা।

সোমবার ২১ আগস্ট সকাল ১০টায় বন্দর কবিলা মোড়ে ১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান বাদশা মৃধা সঞ্চালয়নায় ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ জিয়াউর হাসান বাবু’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, সাবেক আইন-বিষয়ক সম্পাদক সজীব মোল্লা, সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল চন্দ্র দে,ত্রান বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সদস্য আবছার সিকদার, ইফতেখার পাপ্পু, ২২নং ওয়ার্ড সভাপতি মুজাহিদ সরকার জনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান রেসিন এবং মানব বিষয়ক সম্পাদক এনি আহম্মেদ ও দপ্তর সম্পাদক ইমরানুর রশিদ, ১৯ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাক সকল উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *