বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে শুক্রবার (৯ জুন) বিকেল তিনটায় বন্দরের ২৭নং ওয়ার্ড কুড়িপাড়া হাইস্কুল মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন যে তিনি বলেন, এদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা কে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আজকের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য এই দেশের গণতন্ত্র আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন আর বসে থাকলে চলবে না। আমাদেরকে প্রতিবাদী হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই প্রতিবাদী। শুধু মুখে কথা না বলে কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে। বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক নূর মোহাম্মদ পনেছের সভাপতিত্বে ও বন্দর থানা বিএনপির সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা সঞ্চালয়নায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসনে খান। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, এই সরকারের তলা আছে? সরকারের তলা নাই হয়ে গেছে। সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে একেক নেতা একেক কথা বলছে। কয়েকদিন আগে তাদের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু কি বলেছেন। বিএনপির সাথে আলোচনা বসা যাবে।

কয়েকদিন পরে তাদের আরো সিনিয়র নেতারা উল্টাপাল্টা বকবক করছে ঠিক কিনা। আসলে তাদের মাথা এখন আর কাজ করছে না। দুর্নীতি করতে করতে তারা এক্সটিম হয়ে গেছে। তারা আর কতো দুর্নীতি করবে। দুর্নীতি করতে করতে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে। তাদের দুর্নীতি অত্যাচারে এদেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষ আর মানবে না। এ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ জেগে উঠেছে।

 

 

তিনি বলেন, আজকে বন্দর থানা বিএনপির সম্মেলন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে কোন ঝামেলা হবে না। আওয়ামী লীগের কোন উস্কানিতে কেউ কান দিবেন না। বিএনপির শান্তি শৃংখল একটি দল। কিভাবে শিষ্টাচার করতে হয় বিএনপির সেটা শিখায়। বিএনপি ভদ্রতার প্রতীক। সুতরাং আমরা সুন্দর শান্তি শৃংখলভাবে আজকের সম্মেলন সমাপ্ত করবে ইনশাল্লাহ।

 

তিনি আরও বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ভুয়া মামলায় এই অবৈধ সরকার কারাবন্দী করে রেখেছে। এটা কি আপনারা মানতাছেন আপনাদের কষ্ট হচ্ছে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে তার জন্য কি করতে হবে আন্দোলন করতে হবে।

আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারে পতন ঘটাবো হবে ইনশাল্লাহ। আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার উল্টাপাল্টা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। কারণ এই সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়।

এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন করে তোলে জননেতা তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। আর এ দেশের নেতৃত্ব দিবেন জননেতা তারেক রহমান।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন- মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতে মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম হিরণ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাহমুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ম সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, ইকবাল হোসেন, নাছির উল্লাহ্ টিপু, সোহেল খান বাবু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, বন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শিশির, হারুন উর রশিদ লিটন, শাহিন আহমেদ, শাহাদুল্লাহ মুকুল, তাঁরা মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম, নাজমুল হক, মো. মহসিন, মহসিন উল্লাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাতা আলম রতন, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদারসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।