বন্দরে ক্রাউন এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ক্রাউন এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান রোজেন বাদী হয়ে গত বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে বন্দর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ দিকে মামলা দায়েরের ওই দিন রাতে বন্দরের লক্ষণখোলা ও ঢাকেশ্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহাভুক্ত ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর থানার ক্রাউন ইন্টারপ্রাইজ ঢাকেরশ^রী ডকইর্য়াডের ভিতরে ওই চাঁদা দাবির ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গোপালগঞ্জের ঘোষগাতি এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান পলাশ, গোপালগঞ্জের কুয়াডাঙ্গা গ্রামের ছায়েন উদ্দিন শেখের ছেলে জামাল শেখ, বন্দরের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার আবদুল করিমের ছেলে মোঃ রাসেল ওরফে কামরুল হাসান, বন্দরের দাসেরগাও এলাকার আবদুল হকের ছেলে মোঃ মিনহাজ। গ্রেপ্তারকৃত ৫ চাঁদাবাজকে উল্লেখিত চাঁদাবাজি মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে ডিবি পুলিশ। ঠিকাদার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান রোজেন জানান, তিনি একজন ঠিকাদার। তিনি বন্দরের ক্রাউন এন্টারপ্রাইজ ঢাকেশ্বরী ডক ইয়ার্ডের বালু ভরাট কাজের ঠিকাদারী পেয়ে কাজ করতে যান। বুধবার লক্ষণখোলা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে রবিউল হোসেন মিন্টু ও ঢাকেশ্বরী এলাকার সিদ্দিক মাস্টারের ছেলে জাহান হোসেন সাজুর নেতৃত্বে ১২/১৫ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক ডকইয়ার্ডে প্রবেশ করে ড্রেজারের ম্যানেজার রাসেলসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় তারা ম্যানেজারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চায়। দিতে অস্বীকার করায় তারা বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ইন্সপেক্টর মোঃ তছলিম উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বাকি আসামী গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *