জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ বাদলের খসড়ায় শিবির-ছাত্রদল!
আপডেটঃ মে ১৮, ২০২৩ | ৯:৪৪
246 ভিউ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকার বিভিন্ন পদ ও প্রার্থী নিয়ে সমালোচনা থামছেই না। এমপি শামীম ওসমান নিয়ন্ত্রিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের প্রেরিত খসড়া তালিকায় থাকা যুগ্ম সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীকে নিয়ে নানা বিচার বিশ্লেষন চলছে তৃণমূলে।
তারা হলেন, সোনারগাঁয়ের আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল এবং ফতুল্লার মীর সোহেল আলী। এর মধ্যে আবু জাফর চৌধুরী বিরু এবং মীর সোহেল আলীর অতীত ও বর্তমান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ভেসে আসছে।
প্রবীন নেতারা বলছেন, তারা দুজনই ভিন্ন দলের অনুসারী ছিলেন। তাদের শেকড় আওয়ামী লীগের নয়! এর মধ্যে আবু জাফর চৌধুরী বীরুর স্বজনদের বিরুদ্ধে রাজাকার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি নিজেও জামায়াত শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে খবর রটেছিল। তার স্বজনদের অনেকেই বিএনপি ও জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আর মীর সোহেল ছিলেন বিএনপির অন্যতম সহযোগি সংগঠন ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক। আওয়ামী লীগে প্রবেশের পর বর্তমানে ফতুল্লার বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে। যদিও তারা উভয়েই জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে জড়িয়েছিলেন কঠোর সমালোচনায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ তৈরীর নেপথ্যে রয়েছেন আবু জাফর চৌধুরী বিরু। বিরুর অতীত ইতিহাস নিয়েও ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের ১৫ই আগস্টের পর একটি লিফলেট সোনারগাঁ থেকে শুরু করে শহরবাসীর হাতে হাতে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। ওই লিফলেটে একটি পক্ষ উল্লেখ করেছিল, বীরু তার ছাত্র জীবনে ময়মনসিংহ মেডিকেলে জামায়াত ইসলামের অংগ সংগঠন ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার বাবাকে সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত রাজাকার এসএম সোলায়মানের সহযোগি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। লিফলেটে আরো উল্লেখ করা হয়— বীরুর ভাই লিটন ইউনিয়ন যুবদলের সহ—সভাপতি। তার ভগ্নিপতি মিয়া আব্বাস বাগেরহাটের বিএনপি সমর্থিত সাবেক এমপি, যিনি যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী হয়ে কানাডায় পলাতক আছেন। তার আরেক বোন জামাই আব্দুল মালেক জামায়াত ইসলামের রোকন। ছাত্র জীবনে শিবির করার কারণে বীরু মারধরের শিকারও হয়েছিলেন। বিএনপি—জামায়াত ক্ষমতাকালে বিরু খালেদা জিয়ার সাথে বিদেশ সফরে ছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের কাছে।
কথিত আছে, এক এমপির সুপারিশে স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন বিরু। এছাড়াও বিএনপির তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মাজহারুল ইসলাম দোলনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই লিফলেট প্রকাশের পর জেলাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও বেশ নীরব ছিলেন বিরু। অর্থাৎ ওই লিফলেটের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলতে শোনা যায়নি তাকে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানিয়েছেন, পূর্বের কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক পদে আসার আগে বীরু আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদপদবীতে ছিলেন না। প্রভাবশালী এক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের সাথে বিশেষ সখ্যতার কারণে তাকে সরাসরি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে জায়গা দেয়া হয়েছিল। তা নিয়ে বিগত কমিটিতে তুমুল সমালোচনা শোনা গেলেও আসন্ন পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়াতেও সেই বীরুকেই যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রার্থী করেছেন ভিপি বাদল।
এদিকে, বাদলের খসড়া তালিকায় অপর যুগ্ম সম্পাদক পদে থাকা ফতুল্লার মীর সোহেল আলীকে নিয়েও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গণে। মীর সোহেল আলী এক সময়ে বিএনপির রাজনীতি করতেন। ছিলেন ছাত্রদলের ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে গোড়া ও পূর্ব ইতিহাস থাকার বিধান থাকলেও ছাত্রদল সভাপতিকে কিভাবে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনা হয়েছে সেটা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফতুল্লায় আসার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়ে মীর সোহেলের বাবা মীর মোজাম্মেল আলী গ্রাম সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় থেকেই মীর সোহেল, তার ছোট ভাই ফয়সাল এবং ফুফাতো ভাই হারুন অর রশিদ আরিফ ওরফে বাঘা আরিফ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ১৯৯১ সালে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে মীর সোহেল। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফতুল্লা থেকে বাস যোগে মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিআইটিতে বিএনপির এক মিটিং যাওয়ার পথে চাষাঢ়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মীর সোহেলকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে। এ ঘটনার কিছুদিন পর মীর সোহেলের ছোট বোন জামাতা টিপু সুলতানের মধ্যস্থতায় ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় শামীম ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় মীর সোহেল।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সুবিধা বুঝে তৎকালীন সাংসদ কবরীর বলয়ে চলে যান মীর সোহেল। পরে ফতুল্লার দাপা ঘাট এলাকার কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ ও কাশেমের ঘাট এবং দোকান দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মীর সোহেল ফতুল্লা থানা যুলীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বহিস্কারও হয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর ক্ষমতার দাপটে মীর সোহেল এখন ফতুল্লার অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। ২০১৯ সালে চাঁদ শিকদার সেলিম নামে এক ব্যবসায়ীকে ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরে প্রকাশ্যে মারধর করায় মীর সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ঝুট নামানো, ভেজাল জমিতে হস্তক্ষেপ, বিচার শালিসীসহ নানা মুশকিলের আহসান মিলে তার দরবারে। ফতুল্লা মডেল থানার পাশে একটি অফিস তৈরি করে সেখানে বসেই সকল সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি। এবারের নতুন পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়ায় যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছে সেই মীর সোহেলের নাম। তা নিয়ে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
দলের পরীক্ষিত নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগে পদ দেওয়ার আগে বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও অবস্থান যাচাই বাছাই করার কড়া নির্দেশনা ছিল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দলে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান না দিতেও নির্দেশনা ছিলো তার। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এবারের খসড়া তালিকাতেও সেই বিতর্কিদের নাম উঠে এসেছে।
প্রবীন নেতারা বলছেন, তারা দুজনই ভিন্ন দলের অনুসারী ছিলেন। তাদের শেকড় আওয়ামী লীগের নয়! এর মধ্যে আবু জাফর চৌধুরী বীরুর স্বজনদের বিরুদ্ধে রাজাকার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি নিজেও জামায়াত শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন বলে খবর রটেছিল। তার স্বজনদের অনেকেই বিএনপি ও জামায়াত ইসলামের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আর মীর সোহেল ছিলেন বিএনপির অন্যতম সহযোগি সংগঠন ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক। আওয়ামী লীগে প্রবেশের পর বর্তমানে ফতুল্লার বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে। যদিও তারা উভয়েই জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে জড়িয়েছিলেন কঠোর সমালোচনায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ তৈরীর নেপথ্যে রয়েছেন আবু জাফর চৌধুরী বিরু। বিরুর অতীত ইতিহাস নিয়েও ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের ১৫ই আগস্টের পর একটি লিফলেট সোনারগাঁ থেকে শুরু করে শহরবাসীর হাতে হাতে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। ওই লিফলেটে একটি পক্ষ উল্লেখ করেছিল, বীরু তার ছাত্র জীবনে ময়মনসিংহ মেডিকেলে জামায়াত ইসলামের অংগ সংগঠন ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার বাবাকে সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত রাজাকার এসএম সোলায়মানের সহযোগি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। লিফলেটে আরো উল্লেখ করা হয়— বীরুর ভাই লিটন ইউনিয়ন যুবদলের সহ—সভাপতি। তার ভগ্নিপতি মিয়া আব্বাস বাগেরহাটের বিএনপি সমর্থিত সাবেক এমপি, যিনি যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী হয়ে কানাডায় পলাতক আছেন। তার আরেক বোন জামাই আব্দুল মালেক জামায়াত ইসলামের রোকন। ছাত্র জীবনে শিবির করার কারণে বীরু মারধরের শিকারও হয়েছিলেন। বিএনপি—জামায়াত ক্ষমতাকালে বিরু খালেদা জিয়ার সাথে বিদেশ সফরে ছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের কাছে।
কথিত আছে, এক এমপির সুপারিশে স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন বিরু। এছাড়াও বিএনপির তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মাজহারুল ইসলাম দোলনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই লিফলেট প্রকাশের পর জেলাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও বেশ নীরব ছিলেন বিরু। অর্থাৎ ওই লিফলেটের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলতে শোনা যায়নি তাকে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানিয়েছেন, পূর্বের কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক পদে আসার আগে বীরু আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদপদবীতে ছিলেন না। প্রভাবশালী এক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের সাথে বিশেষ সখ্যতার কারণে তাকে সরাসরি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে জায়গা দেয়া হয়েছিল। তা নিয়ে বিগত কমিটিতে তুমুল সমালোচনা শোনা গেলেও আসন্ন পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়াতেও সেই বীরুকেই যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রার্থী করেছেন ভিপি বাদল।
এদিকে, বাদলের খসড়া তালিকায় অপর যুগ্ম সম্পাদক পদে থাকা ফতুল্লার মীর সোহেল আলীকে নিয়েও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গণে। মীর সোহেল আলী এক সময়ে বিএনপির রাজনীতি করতেন। ছিলেন ছাত্রদলের ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে গোড়া ও পূর্ব ইতিহাস থাকার বিধান থাকলেও ছাত্রদল সভাপতিকে কিভাবে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনা হয়েছে সেটা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফতুল্লায় আসার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়ে মীর সোহেলের বাবা মীর মোজাম্মেল আলী গ্রাম সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় থেকেই মীর সোহেল, তার ছোট ভাই ফয়সাল এবং ফুফাতো ভাই হারুন অর রশিদ আরিফ ওরফে বাঘা আরিফ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ১৯৯১ সালে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে মীর সোহেল। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফতুল্লা থেকে বাস যোগে মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিআইটিতে বিএনপির এক মিটিং যাওয়ার পথে চাষাঢ়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মীর সোহেলকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে। এ ঘটনার কিছুদিন পর মীর সোহেলের ছোট বোন জামাতা টিপু সুলতানের মধ্যস্থতায় ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় শামীম ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় মীর সোহেল।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সুবিধা বুঝে তৎকালীন সাংসদ কবরীর বলয়ে চলে যান মীর সোহেল। পরে ফতুল্লার দাপা ঘাট এলাকার কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ ও কাশেমের ঘাট এবং দোকান দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মীর সোহেল ফতুল্লা থানা যুলীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বহিস্কারও হয়েছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর ক্ষমতার দাপটে মীর সোহেল এখন ফতুল্লার অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। ২০১৯ সালে চাঁদ শিকদার সেলিম নামে এক ব্যবসায়ীকে ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরে প্রকাশ্যে মারধর করায় মীর সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ঝুট নামানো, ভেজাল জমিতে হস্তক্ষেপ, বিচার শালিসীসহ নানা মুশকিলের আহসান মিলে তার দরবারে। ফতুল্লা মডেল থানার পাশে একটি অফিস তৈরি করে সেখানে বসেই সকল সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি। এবারের নতুন পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়ায় যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছে সেই মীর সোহেলের নাম। তা নিয়ে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
দলের পরীক্ষিত নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগে পদ দেওয়ার আগে বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও অবস্থান যাচাই বাছাই করার কড়া নির্দেশনা ছিল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দলে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান না দিতেও নির্দেশনা ছিলো তার। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এবারের খসড়া তালিকাতেও সেই বিতর্কিদের নাম উঠে এসেছে।