জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলায় বন্দর বাসীর জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন কথা জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচন্ড গরম পরতে না পারতেই শুরু হয়েছে বন্দরে বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলা। এর ধারাবাহিকতায় বন্দর উপজেলার বন্দর, কলাগাছিয়া, ধামগড়, মদনপুর, মুছাপুর ইউনিয়নসহ নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের সর্বত্রই প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা এবং গভীর রাতে কমপক্ষে ২ ঘন্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।  বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলায় বন্দরে ব্যবসায়ী সমাজসহ সচেতন মহল র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় মিল কারখানা গড়ে উঠার কারনে বিদ্যুৎতের চাহিদা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে বন্দরে ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের মিল ও কারখানা অচল হয়ে পরে। সে সাথে বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন, সকল ব্যাংক, সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি পাম্পের দৈনন্দিন কাজে মারাত্নক ভাবে বেঘাত সৃষ্টি হয়। এ কারনে বন্দরে ব্যবসায়ী সমাজ অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পিক আওয়ারে এখন  বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী’রা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধু মাস বলা হয়। এ মাসে প্রচন্ড গরম থাকে। এর মধ্যে দিনে, সন্ধ্যায় ও গভীর রাতে বিদ্যুৎ থাকছে না উল্লেখিত এলাকায়। রাতের বেলায় বিদ্যুত না থাকার কারনে আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়াসহ ঘুমের বেঘাত সৃষ্টি করেছে। ঘারমোড়া এলাকার ব্যবসায়ী মামুন মিয়া জানিয়েছে, দিনের বেলায় হঠাৎ বিদ্যুৎ না থাকার কারনে মাঝে মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেই। বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের প্রচুর টাকা লোকশান গুনতে হয়। আমরা ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎতের উপর নিরর্ভশীল। এক দিকে আমরা চাহিদা অনুয়ায়ি বিদ্যুৎ পাচ্ছি না অন্যদিকে সরকার বার বার বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি করছে। বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি খেলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী বন্দর বাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *