নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যেন একটি অনিয়মের আস্তানা,রহস্যজনক কারনে সকল সেক্টর নীরব!!
অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারিতার প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ বন্দরের নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য, একই ২ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে বেতন উত্তোলনসহ নানা বির্তক ও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না। শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা চলাকালীন বেতনের জন্য শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেয় প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানম। যে বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কলে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বারক লিপি দেন। প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম, দূর্ণীতি, সেচ্ছাচারিতার বিষয়ে জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়৷ যার প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয় হতে প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ নৌটিশ করলে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানমের বিপরীতে কেউ কথ বলতে সাহস পায় না। বিগত সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের প্রভাব আর বর্তমানে অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ইউনুসের প্রভাবে বেশ দাপটে। ডা. ইউনুস প্রধান শিক্ষিকার সর্ম্পকে চাচা হয় সেই প্রভাবে ধরাকে সরা ঞ্জান করা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের প্রমানসহ অভিযোগ থাকলেও ডোন্ড কেয়ার মোডে। প্রধান শিক্ষিকার অপকর্ম ব্যপক, বিস্তার লাভ করেছে বলে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান।
আইনি বৈধতা না মেনে বিদ্যালয়ের সাথেই গড়ে তুলেছে তাদের এই কোচিং সেন্টার। সরকার থেকে কোচিং নিষেধ থাকলেও কোন প্রকার আদেশের তোয়াক্কা না করেই ভিন্ন উপায়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক। বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে তারা তাদের কোচিং বাণিজ্য অব্যহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।
নতুন ক্যারিকুলাম নিতিমালা অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ক্লাস বা কোচিং করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। উক্ত বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক মেহেদী হাসান জানায় যে, বিদ্যালয়ে পূর্বে কোচিং করাতেন। কারণ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধিগন তাদের কে এই অতিরিক্ত ক্লাস বা কোচিং করানো জন্য বলেন। সেই থেকে তারা শিক্ষার্থীদের কোচিং করিয়ে আসিতেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা বিদ্যালয়ে কোচিং করাই না।
কিন্তু উক্ত শিক্ষক মেহেদী সহ আরো কয়েকজন শিক্ষকদের দেখা গিয়েছে বিদ্যালয়ে পাশেই তারা বিভিন্ন রোম ভাড়া নিয়ে বিদ্যালয়ে ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায় উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা ভিন্ন উপায়ে বিদ্যালয়ে বন্ধ হওয়া সেই কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের শিক্ষকগন শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্ভুদ্য করেন তাদের কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য। এবং তাদের কোচিং সেন্টারে পড়লে পরিক্ষার রেজাল্ট ভালো হয়। ক্লাস বিত্তিক ভাগা ভাগি করে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষক এই কোচিং বাণিজ্যর সাথে সরাসরি জড়িত। এবং কোচিংয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষার্থী এবং ক্লাসে অগ্রাধীকার পায় বেশি।
উক্ত বিষয় নিয়ে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি রিফাত হোসেন বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষকদের আমরা কোচিং বা অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য বলা হয়নি।
অভিভাবকদের মতে বাচ্চার সু শিক্ষার এবং ভালো রেজাল্ট করানোর জন্য তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে পড়াতে দেন। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে পড়লে তার বাচ্চা ভালো রেজল্ট করে। এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে আদরের হয়ে থাকে। স্কুলের শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে না পড়লে বাচ্চার রেজাল্ট ভালো হয় না।
বিশ্লেষকদের মতে বিদ্যালয়ে এই রকম কার্যক্রম দুঃখ জনক। একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা সমর্থন কাম্য নয়। সেই শিক্ষক যদি শ্রেণিকক্ষে তার সিলেবাস সম্পূর্ণ করতে না পারে তাহলে সে স্কুলে তাদের সেই সিরেবাস সম্পূর্ণ করিয়ে দিবেন। কিন্তু এর জন্য সে অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের থেকে নিতে পারেনা। এই বিষয়ে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সায়েমা খানমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে বার বার ফোল দেওয়া পরেও সে তা রিসিভ করেনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাহুর গ্রাস ( অধ্যক্ষ) সায়মা খানমের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য বর্তমান কমিটির সভাপতি এডিসি’র জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল
##