পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাত্রার সময় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন সাংবাদিক শাহিন। জানা যায়, লাঞ্চিত’র স্বীকার শাহিন মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুনের ক্যামেরা পার্সন হিসেবে কর্মরত আছেন। হামলার পর নারায়ণগঞ্জ ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক নিয়েছেন শাহিন। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্নানোৎসবের নিউজ কাভারেজ করতে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ফেরী ঘাটের জেলা যুবলীগ নেতা সাজনু ও রিয়েলের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার আর মারধরের শিকার হন ক্যামেরা পার্সন শাহিন আলম। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরাও ভেঙে ফেলেছে ওই বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, হামলার পর ঘাটের ইজারাদার ও যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সাজনুর ভাগিনার সন্ত্রাসী বাহিনীরা মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ক্যামেরা পারসন শাহিন আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে স্নানোৎসবের নিউজ কাভারেজের জন্য প্রতিনিধির ব্যবহৃত গাড়ি ফেরী পারাপারের জন্য ঘাটে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় স্নানোৎসবে যাবার জন্য প্রায় শতাধিক যানবাহন জমে গেছে।। ক্যামেরা পারসন শাহিন আরো একটি ফেরী চালাতে অনুরোধ করলে প্রথমে সাজনুর ভাগিনা ধাক্কা দিতে শুরু করে। এরপর সাজনু ও রিয়েলের অন্যান্য সন্ত্রাসী বাহিনী সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায় শাহিন ও গাড়ির চালকের উপর। বিষয়টি ফেরীর পরিচালক খ্যত রিয়েলকে জানালে সে বলে, মামুন আইছে বরিশালের তে, আর তুই আইসস কইত্তে? কাইটা নদীতে ভাসাইয়া দিমু।

এ বিষয়ে মাই টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ফেরী ঘাটে নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে মাই টিভিতে সংবাদ প্রকাশ করায় যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সাজনু বেপরোয়া আচরন করেছে। শুধু তাই নয় তার পালিত বাহিনীরা গাড়ির চালকদের সাথে খারাপ ব্যবহার, অতিরিক্ত টোল আদায়, ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ফেরী বসে থাকা সহ নানা অনিয়ম করে আসছে। আজ সকালে আমাদের গাড়ি সহ ক্যামেরা পারসন শাহিন ফেরী পার হওয়ার সময় ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহন জমে যাওয়ায় আরো একটি ফেরী চালানোর অনুরোধ করলে সাজনু ও রিয়েলের বাহিনীর সদস্য ভাগিনা মামুন ও টোল আদায়কারী সন্ত্রাসী কোরবান বেশ কছ্জন শাহিনকে মারধর সহ হত্যার হুমকি দেয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন টিও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হাতে থাকা ক্যামেরাটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

অপরদিকে ঘটনার তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ক্যামেরা পার্সন শাহিন আলম।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়, সঠিক তদন্ত করে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *