প্রায় এক বছর পূর্বে এক পাগল বন্দর উপজেলার শান্তিনগরে এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। স্থায়ীভাবে রাস্তায়ই বাঁধেন আবাসস্থল। কেউ দিলে খেত না দিলে কুড়িয়ে কুড়িয়ে অন্ন যোগান দিত তিনি।
নাম পরিচয়হীন যুবকের পরিচয় হয়ে উঠে জট পাগল। কিন্ত কে জানতো কিছু মানুষ নামের পশুরা তার উপর বর্বরোচিত হামলা করবে?
বেশকিছুদিন পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ২ পায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
শান্তিনগরের একটি রাস্তায় ঘুমন্ত অবস্থায় ভাসমান ঐ যুবকের দু’পায়ে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করে দেয় পাষন্ডরা। বর্তমানে তিনি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যু’র দিন গুনছে। কেন তার পায়ে আগুন দেয় পাসন্ডরা তা আজও অজানা! ঘটনার ৪-৫ দিন পর স্থানীয়দের নজরে এলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু ততদিন পাঁ দুটি প্রায় নষ্ট হয়ে কীট পতঙ্গের খোরাকে পরিনত হয়। স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা শুর“ হয় তার। তার পায়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় টানা ৮ ঘন্টার অপারেশনের পর একটি পা কাটা হয় তার। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালে ভর্তি হলেও আশংকা কাটেনি তার। পরবর্তী অপারেশনে তার অপর পায়ে অস্ত্রোপচার হলে কাটা যেতে পারে আরো একটি পা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে মাহমুদনগর এলাকার সমাজ সেবক রাসেল ইসলাম জীবন অসুস্থ্য পাগলকে দেখতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ছুটে আসেন।
পরে তিনি অজ্ঞাত পাগলের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়াসহ তার নিজ শরীর থেকে এক ব্যাগ রক্ত প্রদান করাসহ চিকিৎসার জন্য নগদ ২ হাজার টাকা তুলে দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের হয়নি।
কে বা কার কি কারণে ওই ভারসাম্যহীন পাগলের পায়ে আগুন লাগালো এ রহস্য উদ্ঘাটনসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই এলাকার সচেতন মহল।