গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আরও দু-একদিন এমন অবস্থা থাকতে পারে।
‘হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাদের একটানা কাজ না করে, বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে।’প্রচন্ড গরমের কারণে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ভিবিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট এতে করে পানির তীব্র সংকটের কারনে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছুটোছুটি করছে পানির প্রয়োজনে।
‘কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। গরমের কারণে রিক্সা চালক রুহুল আমিন বলেন তীব্র গরমে আমরা অনেক কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে বের হই কিন্তু রাস্তায় লোকজন থাকলেও গরমের কারনে খেপ মারতে পারছিনা । আবার অতিরিক্ত গরমের কারণে লোকজন কম বের হচ্ছেন।
কর্মকার কামার কৃষ্ণ বলেন, ‘আগুনের কাজ করি। এই গরমের মধ্যে কীভাবে কাজ করবো, আর কীভাবে চলবো বুঝতে পারছি না। ঠিকমতো কাজ করতে না পেরে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছে। আরও দু-এক ডিগ্রি বাড়বে। এমন অবস্থা আর দু-একদিন থাকবে। এরপর হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে