নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগরে বিচার শালিসে সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন বাহিনীর হামলায় চারজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সালাউদ্দিনকে এক নম্বর বিবাদী করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ আব্দুল মোতালেব।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খানপুর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতরা হলেন, কানাইনগর গ্রামে মৃত আব্দুল গনির পুত্র হালিম, আব্দুল আলীর পুত্র আলাল, মোতালেব এর পুত্র রাকিব, মৃত শহীদুল্লাহ পুত্র আলী হোসেন।
কানাইনগর গ্রামের মৃত হাজী আঃ গনির পুত্র মোঃ আঃ মোতালেব বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা তুলে ধরা হলোঃ বিবাদী ১। সালাউদ্দিন (৩০), ২। আলাউদ্দিন (২৭),৩। মহিউদ্দিন (৪০) ৪। দাদন (২৭) সর্ব পিতাঃ-মৃত আঃ কাদির, সাং কানাইনগর ৫। বাবু (৩০) পিতাঃ-মতিন সাং রামনগর থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমার জ্যাঠাতো ভাই আসাদুল্লা (৬০) অনুমান ১৫ দিন পূর্বে ১৭ শতাংশ জমি রাজাপুর সাকিনে জনৈক মুকুল এর নিকট বিক্রি করে। উক্ত বিবাদীরা এলাকায় জমির দালালী করে। আমার জ্যাঠাতো ভাই অন্যত্র জমি বিক্রি করার কারনে তাহারা শতাংশ প্রতি ১৫,০০/- টাকা দাবী করে। আমার জ্যাঠাতো ভাই তাদের কে টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় তাহাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। আমি সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করার জন্য গত ০২/০৯/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় ফতুল্লা থানাধীন কানাইনগর বেকারীর মোড়ে মিমাংশার জন্য বসি। আলোচনা শুরু হওয়ার সাথে সাথে উক্ত বিবাদীরা উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আমার উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন করতঃ মারধর শুরু করে। তখন আমার ছেলে রাকিব হাসান (৩০) প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো বগি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্য মাথার উপর কোপ মারিলে সে ডান হাত দিয়া প্রতিহত করিলে আমার ছেলের বাম হাতের আঙ্গুল ০৩টি এবং ডান হাতের ১টি আঙ্গুল কাটিয়া গুরুতর রক্তাত কাটা জখম হয়।
ঐ সময় আমার ছোট ভাই আঃ হালিম ওরফে রহমান (৫০) আমার ছেলেকে রক্ষা করতে আসলে ৫নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো বগি দিয়া আমার ছোট ভাইকে খুন করার লক্ষে মাথার বাম পাশে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
২নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো বগি নিয়া আমার ছোট ভাইয়ের ডান কাধের উপর কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। এবং ৩নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো বগি দিয়া আমার জ্যাঠাতো ভাই আলাল মিয়া (৫০) এর মাথার ডান পাশে কোপ মারিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম করে। অন্যান্য বিবাদীরা আমার ভাই ও ছেলেকে মারধর করিয়া। নীলা ফোলা জখম করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা এই মর্মে হুমকি দেয় যে এ ব্যাপারে থানা / আদালতে মামলা করিলে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আমার ছেলে রাকিব হাসান সহ আমার ছোট ভাই আঃ হালিম ওরফে রহমান এবং জ্যাঠাতো ভাই আলাল মিয়া দের কে চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুরে নিয়া গেলে কর্তব্য রত ডাক্তার তাদের অবস্থা অবনতি দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়।
আসাদুল্লাহ গনমাধ্যম কর্মীদের জানান,ফতুল্লা থানার এএসআই বাদল আমাদের কে মীমাংসা করার জন্য থানায় আসতে বলেন।উক্ত ওয়ার্ডের সকল অপকর্মের হোতা ও উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের গডফাদার মেম্বার রাসেল চৌধুরী নিজে বিচারের দায়িত্ব নেন।আমরা বিচার শালিসে বসার পরপরই রাসেল মেম্বারের নির্দেশে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার রাসেল চৌধুরী বলেন,আমার কোন গ্রুপ নাই।আমি ও পঞ্চায়েত প্রধান আমানউল্লাহ নিরপেক্ষ ভাবে বিচারের ব্যবস্থা করেছি।ভূমিদস্যু আসাদুল্লাহ আমার ব্যাপারে যা বলেছে তা মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বাবু, আলাউদ্দিন, দাদন ও সালাউদ্দিন লাইফ সাপোর্টে আছে।আমি নির্বাচিত ৩ বারের মেম্বার।আমার কোন বাহিনী নাই এলাকাবাসী সবার জানা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।