বড় ভাল মনের মানুষ ছিলেন রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ। এমনই বক্তব্য স্থানীয়দের।

জানা গেছে, তিনি গত ৫ মাসন পূর্বে মতিহার থানায় যোগদান করেন। যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক জিরো টলারেন্স নিতি অসুসরণ করেন। যোগদানের প্রথমদিন থেকেই তিনি ঘোষনা দিয়ে জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। শুরু হয় অভিযান। ওসির কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি ও হস্তক্ষেপে মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই চোর, ছিনতাইকারী, জুয়া কারবারী, ও মাদক কারবারিদের আটক করেন। স্বস্তি ফিরে আসে মতিহার-বাসীদের মঝে। সম্প্রতী ওসি হাফিজুর রহমান ওমরাহ পালনে সৌদি আবর পাড়ি দেন। দেশে ফিরে থানায় যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই হটাৎ তার বদলির আদেশ আসে। বিষয়টি প্রশাসকের একান্তই ব্যক্তিগত।

স্থানীয়রা বলছেন, ওসি হাফিজ একজন ভালো মনের মানুষ। সবার সাথেই কথা বলেন হাসি মুখে। তিনি দুইবার মতিহার থানায় পোষ্টিং হয়ে আসলেন। কিন্তু দুইবারই ৫মাসের বেশি থানায় থাকতে পারলেন না ! এ নিয়ে মতিহার-বাসীর মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে ওসি হাফিজকে নিয়ে। যাহা এর আগে কখনও কোন ওসিকে নিয়ে আলোচনা করতে দেখা বা শোনা যায়নি।

একধিক স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে ওসি তুহিন দীর্ঘ সময় মতিহারে থাকলেন। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযানে যেতে নিষেধ করতেন এসআই ও এএসআইদের। এমনকি মাদক বিক্রেতাদের ধরতে সরাসরি নিষেধ করতেন তিনি। এ নিয়ে মতিহার থানার একজন সিনিয়র এসআই-এর সাথে তার সরাসরি দ্বন্দও হয়েছিলো। ওই ওসির বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছিলো। তারপরও তিনি ১বছরের বেশি সময় ছিলেন মতিহার থানায়।

অথচো ভাল মানুষ ওসি হাফিজ। তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ নেই। কোন অভিযোগ নেই। সকল মানুষের সমস্যা শুনতেন হাসি মুখে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টাও করতেন। এর অগে তিনি বোয়ালিয়া মডেল থানা, রাজপাড়া থানা ও মতিহার থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনদিন তার নামে সংবাদ প্রকাশ হয়নি বা দূর্ণাম শোনা যায়নি। কারন তিনি যে ভাল মনের মানুষ। এ ভাবেই রাস্তায়, চায়ের দোকানে, থানায়, মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে ওসি হাফিজুর রহমানের আলোচনা। মতিহার থানা থেকে দ্রুত পোষ্টিং হওয়ায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়েছেন সকলেরই প্রিয় মানুষ মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজ।

জানতে চাইলে ওসি হাফিজ বলেন, আমি আরএমপির ভালো ভালো থানায় কাজ করেছি। মতিহার থানার এরআগে ছিলাম ৫মাস। এবার এসেও থাকলাম ৫মাস। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যেখানে যাকে ইচ্ছে দেবেন। বিষয়টি একান্তই কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আমি কোন কথা বলেতে চাইনা বলেও জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *