বন্দরে মাদক বিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়ে ১২১ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ২১’শ ৫০টাকাসহ চিহিৃত মাদক সম্রাট ও একাধিক মাদক মামলার আসামী সবুজ (২৮) ও গোলাম হোসেন (৪১) নামে ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ২ মাদক ব্যবসায়ীকে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পৃথক ২টি মাদক মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে সংশ্লিস্ট পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাদক সম্রাট সবুজ মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার কদমতলী এলাকার মৃত নান্দু মিয়ার ছেলে বর্তমানে সে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেনগরস্থ জনৈক মহসিন মিয়ার বাড়িতে র্দীঘ দিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আছে ও অপর ধৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বন্দর উপজেলার পশ্চিম কেওঢালা এলাকার মৃত মোকসেদ আলী মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় বন্দর উপজেলার পশ্চিম কেওঢালাস্থ হাজী শফি উদ্দিন মিয়ার বাড়ি সামনে কাঁচা রাস্তার উপর ও বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত সোয়া ৩টায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ডের কদম রসুল কলেজ গেইটের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে পৃথক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ টাকাসহ ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এসআই সৈয়দ রুহুল আমিন ও বন্দর ফাঁড়ি এসআই আরফি পাঠান বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ২ মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পৃথক মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ৩৮(৮)২৩ ও ৩৯(৮)২৩।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশ বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গোলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টায় বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ কদম রসুল কলেজ গেইটের সামনে অভিযান চালিয়ে ৫১ পিছ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২১’শ টাকাসহ চিহিৃত মাদক সম্রাট সবুজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সবুজ একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সবুজ র্দীঘ দিন ধরে বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ফেরি করে ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিল।