নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের সংলগ্ন সিটি কপোরেশনের জায়গায় দোকান নির্মাণের জন্য মাটি ভাড়ার নামে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কন্ট্রাক্টর শেরু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে। তিনি একরামপুর ৪৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কন্ট্রাক্টর।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক নারী কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গায় পাঁচটি দোকান নির্মাণের জন্য মাটি ভাড়া দেয়া হবে বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের মধ্যে অগ্রিম টাকা সহ ভোটার আইডি কার্ড দিয়েছে বাবুল, সজিব, হান্নান, স্বপন ও আল আমিন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডস্থ স্বল্পেরচক একরামপুর ৪৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় নির্ধারিত জায়গায় বিদ্যালয়ের কাজ চলছে। ওই বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেন কন্ট্রাক্টর শেরু পাটোয়ারি। এর পূবেই ওই সকল জায়গায় অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করতেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর আগেই সেই অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন সিটি কপোরেশন। বিদ্যালয়ের কাজ শেষ না হতেই কক্ট্রাক্টর সহ স্থানীয় এক নারী কাউন্সিলরের প্রভাব খাটিয়ে এর পাশেই দোকান ঘর নির্মাণের জন্য মাটি ভাড়া দেয়া হবে। এর জন্য এলাকার ওই সকল উচ্ছেদকৃত দোকানদারদের কাছ থেকে পূনরায় মাটি ভাড়া বাবদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একরামপুর ৪৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের কাজ চলছে বন্দরে কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন। এর পাশেই খালি জায়গায় কন্ট্রাক্টর শেরু মিয়া পাঁচটি দোকান নির্মাণের জন্য মাটি ভাড়া দিবে। ইতোমধ্যে পাঁচটি দোকানের নামে মাটি ভাড়া বাবদ অগ্রিম ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় আরও জানান, সিটি কপোরেশনের নজরদারি না থাকায় একের পর এক সরকারি জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু কর্মকার্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বিদ্যালয়ের কন্ট্রাক্টর ও স্থানীয় এক নারী কাউন্সিলর এসব কাজ করছে।
দোকানের বিষয় বাবুল জানান, এখানে সজিব, হান্নান, স্বপন ও আল আমিন সহ আমি কাগজপত্র জমা দিয়েছি শেরু পাটোয়ারির কাছে। মেয়র মহোদয় আসলে আমাদের কাগজপত্র করে দিবে জানান শেরু পাটোয়ারি। নিজের খরচে দোকান তোলা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন শেরু পাটোয়ারি এবিষয় এখনও কিছু বলেনি।
শেরু পাটোয়ারি কন্ট্রাক্টর জানান, আমি কোন টাকা পয়সা নেইনি। এটি কী আমার বাপের সম্পত্তি, আমার তো দেয়ার ক্ষতা নেই। ওখানে যারা দোকানদারি করতেছে তারা আমার কাছে একবার আসছিল, আমি বলেছি সিটি কপোরেশন যদি মাটি ভাড়া দেয় তাহলে কাগজপত্র জমা দিতে পারেন। আমি তো দেওয়ার কিছু না, সিটি কপোরেশনই পারে দিতে।
এবিষয় নাসিক সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নারী কাউন্সিলর শাওন অংকন জানান, এটি তো ওনার দেয়ার ক্ষমতা নেই, জনগণ যারা কাগজপত্র জমা দিয়েছে একটি দরখাস্ত দিয়ে মেয়র মহোদয়ের কাছে। এগুলো মিথ্যা কথা, সবই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তেমন কিছুই হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *