বন্দরে ডিম ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয় গেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী রজীবগং, থানায় অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ডিম ব্যবসায়ী মিরাজ (২২)’কে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে তার সাথে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
গত ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টায় মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মিরাজ মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে। তাকে ঢামেকে চিকিৎসা শেষে গতকাল ১২ জুলাই দুপুরে তার বোন অহনা (৩২) বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ছোটবাগ এলাকার হোসেন মাদবরের ছেলে রাজীব (২৫) ও শফিক (৪২) এবং করিমের ছেলে মাহবুব সিকদার (৩০) সহ আরও অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে বিবাদী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বিবাদী রাজীব তার বড়ভাই শফিক (৪২), ও একই এলাকার মাহবুব সিকদার মদনপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বিবাদীরা বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকার ছোটবাগ এলাকায় নানা রকম অপকর্ম করে থাকে। বাদীর ভাই মিরাজ (২২) গত ০৬/০৭/২০২৩ ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময় বাদীর ফুফুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসার উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। অতঃপর মদনপুর সাকিনস্থ দেওয়ানবাগ এলাকায় আসার সময় উপরোক্ত বিবাদীরা সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোক বাদীর ভাইকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পথ রোধ করে। বিবাদীরা বাদীর ভাইকে পথ রোধ করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র গলায় ধরে মারমুখী আচরণ করতে থাকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। বাদীর ভাই টাকা না দিতে চাইলে বিবাদীরা বাদীরো ভাইকে নানা রকম ভাবে ভয়ভীতি প্রদান করতে থাকে। উপরোক্ত বিবাদীদের নিকট হতে বাদীর ভাই বাঁচার জন্য আকুতী-বিনতী করতে থাকেলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর ভাই মিরাজকে এলোপাথারি মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র কাঠের ডাসা লোহার রট, রামদাহ্, দিয়ে মিরাজ এর পায়ে আঘাত করে তার দুই পা ভাঙ্গে ফেলে। অতঃপর বিবাদীরা মেরাজকে মারাত্মক আঘাত করে ঘটনাস্থলে ফেলে তার সাথে থাকা ফুফুর দেওয়া নগত ১,২০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। এবং বিবাদীরা বাদীর ভাইকে শাশিয়ে যায় যে, উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করিলে বিবাদীরা তাকে খুন জখম করে হত্যা করিবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। অতঃপর বাদীর ভাইকে উক্ত এলাকার লোকজন পরা অবস্থায় দেখতে পায়ে তাকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে বাদীর নিজ বসত বাড়ীতে নিয়ে আসে। বাদীর ভাইয়ের গুরুত্বর অবস্থা দেখতে পেয়ে তাকে জরুরী মদনপুর আল- বারাকা হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তার মারাত্মক অবস্থা দেখতে পেয়ে তাকে জুরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করতে বলে। অতঃপর বাদীর ভাইকে চিকিৎসা গ্রহণ করে তাকে বাদীর বসত বাড়ীতে নিয়ে আসে। এমতাবস্থায় আর কোনো উপায় না পেয়ে বিষয়টি বাদীর নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ- আলোচনা করে এবং উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠ বিচারের উদ্দেশ্যে বাদীর ভাইয়ের চিকিৎসা প্রদান করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে।