নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ৮ বছরের কিশোর প্রতিবেশীর বাড়িতে প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে কিশোরের পিতা-মাতাগং ঐ বড়ির ২ নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নীলাফুলা ও কাটা রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০ টায় বন্দর ইউনিয়নের পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার সখিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলো তার স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪৫), ছেলে কবির হোসেন (৩০), পুত্রবধু লতা বেগম ও প্রতিবেশী আমান উল্লাহ্ (৩৫)। এ ঘটনায় সখিন মিয়ার মেয়ে বিথী আক্তার (২৮) বাদী হয়ে শনিবার (৮ জুলাই) সকালে মোঃ মুছা মিয়াসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরদর্শন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানাধীন পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি (নাসিম ওসমান মডেল হাই স্কুল) সংলগ্ন সখিন মিয়ার পরিবারবর্গের সাথে প্রতিবেশী মোঃ মুছাগংদের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে মুছাগংরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সখিন মিয়ার পরিবারবর্গেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। ছোট খাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করে। এবং প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রতিবেশী মোঃ মুছা (৩৫)’র ৮ বছরের কিশোর পুত্র মিহাদ সখিন মিয়ার বাড়ি গলিতে প্রস্তাব করে। এসময় সখিন মিয়ার মেয়ে বিথী আক্তার উক্ত প্রস্রাব পরিস্কার করতে বলে। এর জের ধরে মুছা মিয়া তার স্ত্রী মালা বেগম (২৫), স্বজন মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে লিটু মিয়া (৫০), তার স্ত্রী মাহামুদা বেগম (৩৭) সহ আজ্ঞাত নামা ২/৩ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বিথী আক্তারদের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। গালি-গালাজ করতে নিষেধ করায় বিথূ আক্তারকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফলা জখম করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে মা কহিনুর বেগম (৪৫), ভাই কবির হোসেন (৩০), ভাবি লতা বেগম (২৫) ও প্রতিবেশী আমান উল্লাহ্ (৩৫) বিথীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মুছাগংরা লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলাসহ বটি, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় বিথীর গলা থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আহতদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড় হলে হামলাকারীরা খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাথ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম কহিনুর বেগম (৪৫)’কে উন্নতর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *