বন্দরে ফুটবলার অন্তরকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১০দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
বন্দরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ফুটবলার অন্তর হোসেন (২৩)কে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারনে মামলা নেয়নি পুলিশ। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ফুটবলারের পরিবার র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গত ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধস্থ তাজপুর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত ফুটবলার অন্তর বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধস্থ তাজপুর এলাকার মান্নান মিয়ার ছেলে।এ ব্যাপারে আহতের মা জুলেখা বেগম জানান, বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধস্থ তাজপুর এলাকার মৃত আলী হোসেন মিয়ার ছেলে হাজী সাহাবুদ্দিন মিয়া ও তার সন্ত্রাসী ছেলে কাজল গং এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় আমি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আমলী ৬নং আদালতে এ ব্যাপারে সিআর মামলা নং- ২২৪/২৩ দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। উল্লেখিত সন্ত্রাসী পিতা/পুত্র আমার দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। গত ৬ মাস পূর্বে আমার ছেলে ফুটবলার অন্তর প্রবাসে জীবন যাপন করে দেশে আসে। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় সন্ত্রাসী কাজল ও তার পিতা হাজী সাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাস ফেরৎ ফুটবলার অন্তরকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় আমি ও আমার পুত্রবধূ অনিকা (১৯) আমার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে উল্লেখিতরা সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে নিলাফুলা জখমসহ শ্লীতাহানী করে।ওই সময় হামলাকারীরা আমার ছেলে অন্তরের কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার ৫’শ ৩০ টাকা ও তার স্ত্রী কাছ থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী সহযোগিতায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে নারায়নগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল পায়নি। সন্ত্রাসী পিতা/ পুত্রর কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।