বন্দরে বাড়ি সিমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাষান্ড বড় ভাই শাহীন ও তার ছেলে সৌরভের সন্ত্রাসী হামলায় ছোট ভাই মহসিন (৪২)কে রক্তাক্ত জখম করে তার স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৫) শ্লীতাহানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকারিরা ভূক্তভোগী গৃহবধূ গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়াসহ লোহার গেইট, থাইগ্লাস, সিসি ক্যামারা ভাংচুর ও মেশিনারী জিনিসপত্র লুটপাট চালিয়ে প্রায় ১লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। স্থানীয়রা আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। গত রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ও গত সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় বন্দর থানার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ তানিয়া বেগম বাদী হয়ে গত সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে পাষান্ড ভাসুর ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম, ছেলে সৌরভ মেয়ে তানজিলা নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছোট ছেলে মহসীনের সাথে তারেই বড় ভাই শাহীন মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি সিমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় বাড়ি সিমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উল্লেখিত এলাকার মৃত তারা মিয়ার বড় ছেলে পাষান্ড শাহীন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে সৌরভ, মেয়ে তানজিলা ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড ও পাইপ নিয়ে ছোট ভাই মহসীনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারি বড় ভাই শাহীন ও তার ছেলে সৌরভকে বাধা দিতে গিয়ে ছোট ভাই মহসীন রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় হামলাকারিরা বাড়ি লোহা গেইট, সিসি ক্যামারা, জানালার থাইগ্লাস ভাংচুরসহ বিভিন্ন মেশিনারি জিনিসপত্র লুটপাট করে প্রায় ১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় মহসীনের চিৎকারের শব্দ পেয়ে তার স্ত্রী মহসীনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারি ভাসুর শাহীন উল্লেখিত গৃহবধূকে শ্লীতাহানী করে। পরে ভাতিজা সৌরভ তার বোন তানজিলা ও তাদের মা স্বপ্না বেগমকে বেদম ভাবে পিটিয়ে গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুই ভাইয়ের মারামারি ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দুইটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *