বন্দরে দোকান ঘর উঠানোকে কেন্দ্র করে ভাগিনা ও ভগ্নীপতির সন্ত্রাসী হামলায় বিল্লাল হোসেন(৪৫) নামে এক মুদী দোকানী নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) রাত ২টা ১৫ মিনিটে নিহত মুদী দোকানী স্ত্রী জিয়াছমিন বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী ভাগ্নিা খোকনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ২৭(৭)২৩ ধারা- ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনার ওই রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি বন্দরে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী খোকন (৩২)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত হত্যাকারি খোকন সোনারগাঁ থানার খাসপাড়া (নয়াবাড়ী) এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে ডিবি পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (স্ত্রী২৫ জুলাই) দুপুরে বন্দর উপজেলার পূর্ব কেওঢালা মুসলিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন বন্দর উপজেলার পূর্ব কেওঢালা এলাকার মৃত হযরত আলী মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদিনী স্বামী বিল্লাল হোসেন বন্দর উপজেলার কেওঢালাস্থ মুসলিমপাড়া এলাকায় একটি মুদী দোকান রয়েছে। উক্ত দোকানের সাথে আমার ননাশের স্বামী গফুর ওরফে আবুল মিয়া ২ শতাংশ জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে ৪নং বিবাদী গফুর ওরফে আবুল মিয়া গত ২০ জুলাই সকাল অনুমান সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় দোকান নিমার্ন কাজ শুরু করে। উক্ত দোকানের খুঁটি নিদার্রিত সীমানায় স্থাপন না করায় আমার স্বামীর সীমানায় দুই ফিট ভিতরে দখল করে খুঁটি স্থাপন করে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টায় আমার স্বামী, ভাসুর, দেবরসহ স্থানীয়রা দোকান ঘর র্নিমান কারিদের নিদৃষ্ট স্থানে খুঁটি স্থাপন করার কথা বললে ওই সময় গফুর ওরফে আবুল মিয়ার দুই ছেলে খোকন ও রাজু ননাশ কামারুন বেগমসহ ৬/৭ জন ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনি জায়গায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে আমাদের পরিবারের লোকজনদের গালাগালি করে। এক পর্যায়ে ৪নং বিবাদী গফুর ওরফে আবুল মিয়ার হুকুমে সকল বিবাদীগন কাঠের ডাসা দিয়ে বাদিনী দেবর,ভাসুর ও জালদের এলাপাতারী ভাবে মারধর করে নিলাফুলা জখম করে। এ ছাড়াও ১নং বিবাদী খোকন ও ২নং বিবাদী আমার স্বামী বিল্লাল হোসেনকে বেদম ভাবে পেটালে সে মাটিতে লুটে পরে। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় মদনপুর বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, দোকান উঠানোকে কেন্দ্র করে মুদী দোকানী নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ডিবি পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *