বন্দরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের দুই পাশের স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তপক্ষ। গতকাল সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউল্লাহর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে রেলওয়ে পুলিশের সাথে বন্দর থানা ও ধামগড় ফাড়ির পুলিশ সহযোগিতা করেন বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ সময় কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫টি দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীর পক্ষ হতে জানা যায়। এই অভিযানে প্রায় দেড় কোটির টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।

ভূক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটি প্রসস্থ করার উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে এর আগে সড়ক ও জনপথের (সওজ) মাধ্যমে নবীগঞ্জ এলাকায় সড়কের দুই পাশে মার্কিং করে এখানে অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সে অনুযায়ী এখানকার ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে নতুন করে দোকান তৈরি করে তারা। কিন্তু তার কিছুদিন পরই আবারও নতুন মার্কিং করে আরও জায়গা খালি করে নির্দেশ দেন সওজ। পরে ব্যবসায়ীরা আবারও তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে আবারও নতুন করে স্থাপনা তৈরি করে তারা।

কিন্তু গত কিছুদিন যাবত আবারও এসব স্থাপনা স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকিং করে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ এবং সেই মাইকিং অনুুযায়ীই গতকাল সোমবার এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

এই সময় উচ্ছেদের সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে আসে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অভিযানে সড়কের দুই পাশের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি দোকানঘর ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় রাস্তার উপর অনেক দোকানের মালামাল পড়ে থাকতে দেখা যায়। খাবার দোকানসহ অনেক দোকান পাটের ব্যাপক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই বিষয়ে রাস্তার পূর্ব পাশের দোকানের লীজপ্রাপ্ত মালিক নাজির মিয়া জানান, তিনি এই স্থাপনা উচ্ছেদ না করার জন্য কোর্ট থেকে অস্থায়ী আদেশ নিয়ে এসেছেন এবং হাইকোর্টেও একটি রীট করেছেন। সেই কাগজপত্র তিনি উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদানকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখালেও তিনি তা আমলে নেননি। এর আগে এই কয়েক মাসের ব্যবধানে একই দোকান বারেবার ভাঙ্গা ও তৈরি করার কারণে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এখানকার গরীব দোকানদাররা।

তারপরও সুদ ও ধারে টাকা নিয়ে আবারও দোকানগুলো পুনঃনির্মাণ করেন। কিন্তু এখন আবারও তা ভেঙ্গে দেওয়ায় এই দুঃসময়ে তারা মারাত্মক সংকটে পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *