সিদ্ধিরগঞ্জের গণধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ রাজিব ইসলাম (৩৬)’কে বন্দর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (১৪ আগস্ট) লক্ষ্মণখোলা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন রাত পৌনে ৯ টায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার, সিনিঃ সহকারী পরিচালক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল ১৪ আগস্ট ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন লক্ষণখোলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ রাজিব ইসলাম (৩৬) কে গ্রেফতার করে। ঘটনা সূত্রে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রাজিব ইসলাম ও তার সহযোগীরা মিলে ধর্ষিতা ভিকটিম (২৫) কে গণধর্ষণ করে অজ্ঞাত স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাষ্যমতে তিনি গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলে তার খালা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩ (১২)১৮ ধারা- ৯(৩) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩। মামলার পর আসামীরা আত্মগোপন করে ও পলাতক থাকে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী মোঃ রাজিব ইসলাম, পিতা-মোঃ রফিক ইসলাম, মাতা-চম্পা বেগম, সাং-গোদনাইল আরামবাগ, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ রাজিব ইসলাম’কে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে
