নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারি খাল উদ্ধার ও ওয়াক ওয়ে নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী।ফলে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলছে নিকটস্থ বাড়ির বাসিন্দাদের।এছাড়া সরকারের কয়েক কোটি টাকা গচ্ছা যাওয়ার আশকা করা হচ্ছে।স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রতিবাদের মুখে খালের কিছু অংশের ডাস্ট ও ব্যাবহার অযোগ্য মাটি সরিয়ে ফেলা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুবই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।শুরু থেকে এসব অনিয়ম চলে আসলেও রহস্যজনক কারণে নাসিক’র দায়িত্বশীল কাউকে তদারকি করতে দেখা যায়নি।এমনকি নুন্যতম ব্যাবস্থা গ্রহণের নজির নেই।

নাসিক ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহম্মেদ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সোনাকান্দা হাট থেকে মাহমুদ নগর খাল উদ্ধার ও ওয়াক ওয়ে নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।ব্যাবহার অযোগ্য মাটি,বালু, ইট,পরিমানের চেয়ে অনেক কম সিমেন্ট ব্যাবহার করা হয়েছে। এককথায় খুবই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।একপর্যায়ে জোরালো প্রতিবাদের মুখে হাটের নতুন ব্রীজের সাথে কিছু অংশের পচা ডাস্ট মাটি সরিয়ে নিয়ে নতুন মাটি দিয়ে ব্লক বসায়।তিনি সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীর মাধ্যমে নির্মান কাজের দাবী করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতি ও অনিয়মের কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক বাড়ির বাসিন্দারা।নগরবাসীর জন্য অবকাঠামোগত সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে তাদের জীবন ঝুকিপূর্ণ করে তুলছি কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে।এছাড়া মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সিটি নকশা অনুযায়ী প্রভাবশালী বাড়ির মালিকেদের দখলে থাকা সরকারি জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নাসিক’র প্রভাবশালী ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা একেএম আবু সুফিয়ানের চাচাত ভাই পরিচয় দেওয়া ঠিকাদার মাসুম,ও এলিন,রাব্বি, হীরা,রফিক এবং হানিফ মিলে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সোনাকান্দা হাট থেকে মাহমুদ নগর খাল উদ্ধার ও ওয়াক ওয়ে নির্মান করে আসছেন।জনসাধারণের নুন্যতম ক্ষতিসাধন না করে উন্নয়ন কাজ করার বিধান থাকলেও তাদের অমানবিক আগ্রাসনে খালের দু’পাশের অসংখ্য বাড়ি-ঘরের ক্ষতিসাধন হয়েছে।এমনকি নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড এর ছায়াবীথি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রাচীর ভেঙে ফেলে।ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টি নেতা মনির হোসেনের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নাসিক’র এক প্রকৌশলীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এ ঘটনা থানাপুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যস্ততায় মিমাংসা হয়।

এ বিষয় জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাসুম জানান,আমরা ৬ জন মিলে সোনাকান্দা হাট থেকে মাহমুদ নগর খাল উদ্ধার ও ওয়াক ওয়ে নির্মান করছি।নতুন ব্রীজের পাশে ভুলে কিছু নস্ট মাটি দেওয়া হয়েছিলো।পরে স্থানীয় কাউন্সিলর আপত্তি করেন।সাথে সাথেই ওই মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ভালো মাটি দেওয়া হয়েছে।তবে কোনো অনিয়ম হয়নি।

গত নির্বাচনের আগে সরকারি খাল উদ্ধারের কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন।যা এখনো চলমান রয়েছে।করোনা কালীন এসব উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকার পরে কয়েকমাস যাবত পূনরায় চালু করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *