বন্দরে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৈশাখী আক্তার হাফসা (১৬) অপহরনের ঘটনায় অপহরনকারীর পিতা নূরজ্জামান (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অপহরন ঘটনার ৫ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে অপহরণকারি ফয়সালসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ১২(৭)২৩। এর আগে বুধবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া ও কাজীপাড়া মাঝামাঝি জনৈক মজিবর মিয়ার বাড়ি সামনে ওই স্কুল ছাত্রী অপহরনের ঘটনাটি ঘটে। অপহৃতা স্কুল ছাত্রী বৈশাখী আক্তার হাফসা (১৬) বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল আলিম মিয়ার মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত নূরজ্জামান বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার মৃত সামছুল হক মিয়ার ছেলে। মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল আলিম মিয়ার মেয়ে বৈশাখী আক্তার হাফসা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে আসছে। প্রায় ৬ মাস ধরে বন্দর উপজেলার জাঙ্গাল এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে ফয়সালসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে শিক্ষার্থী বৈশাখীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা ভাবে উক্তাক্ত করে আসছিল। ভ্থক্তভোগী স্কুল ছাত্রী বখাটে ফয়সালের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যেক্ষান করলে ওই বখাটে ফয়সালসহ তার সহযোগিরা স্কুল ছাত্রীকে গালমন্দসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় উল্লেখিত স্কুল ছাত্রী বৈশাখী আক্তার হাফসা তার ফুফুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া ও কাজীপাড়া মাঝামাঝি জনৈক মজিবর মিয়ার বাড়ি সামনে আসলে ওই সময় বখাটে ফয়সাল ও তার দুই ভাই সোহেল ও ফাহিম তাদের পিতা নুরুজ্জামান ও একই এলাকার গোলাপ মিয়ার দুই ছেলে সিফাত ও সিহাবসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন মিলে স্কুল ছাত্রী বৈশাখীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে সিএনজি যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি পর স্কুল ছাত্রীর কোন হদিস না পেয়ে অপহরন ঘটনার ৫ দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে বখাটে ফয়সালসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।