বন্দরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা গ্রেপ্তার নেই
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান(১৮) হত্যকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯(১০)২৪ ধারা- ৩০২/ ১১৪/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। এর আগে গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌন ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর নতুন জামে মসজিদ সংলগ্ন জনৈক হীরা মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া উক্ত এলাকার সালাম মিয়ার ছেলে। হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান হত্যাকান্ডের ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের কোন সংবাদ জানাতে পারনি ।মামলার বাদিনী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার জনৈক হীরা মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া দিনমজুর সালাম মিয়ার ছেলে সোহান পেশায় একজন হোসিয়ারি শ্রমিক। এ সুবাদে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের সাথে একই এলাকার কাজল মিয়া ও তার ছেলে রাজগংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।গত রোববার বিকেলে সোহান বাড়িতে ছিল। পরে ওই দিন রাত ৭টায় সোহান বাসা হইতে বের হয়ে যায়। উক্ত বিরোধের জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় বিএনপি নেতা কাজলের হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে রাজসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন কিশোর অপরাধী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্দর থানাধীন মাসিক ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা সোহানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম পিপিএম (সেবা) গণমাধ্যমকে জানান, হোসিয়ারী শ্রমিক সোহান হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।