বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ‘জামাত-শিবির চক্রের সঙ্গে কানেকশন’ নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী। দলীয় পদে না থেকেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ায় নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, জামাত-শিবিরের কানেকশন নুরুজ্জামান বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ ও তাঁর ভাই সাবেক ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনুর নেতাদের মদদে বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছে। মূলতঃ জামাত-শিবিরের কানেকশন নুরুজ্জামানকেই সভাপতি বানাতে চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তৃনমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এদিকে, মোঃ নুরুজ্জামানের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে আল্লামা সাঈদীর ছবি পোষ্ট করে সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছে তিনি। সেই পোষ্ট গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীর এই ফটোটিতে সর্বোচ্চ লাইক দেখতে চাই। সবাই লাইক দিবেন এবং অবশ্যই শেয়ার করবেন। আরেকটি পোষ্টতে উল্লেখ করা হয়েছে, সবাইকে আল্লামা সাঈদীর এ ফটোটি প্রোফাইল পিকচার বানানোর জন্য অনুরোধ করছি। বিশ্ববাসী দেখুন আমাদের কত জনপ্রিয় নেতাকে সরকার ফাঁসি দিতে চেষ্ঠা করছে।

স্থানীয় তৃনমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা জানান, দলে হাইব্রিড এবং সুবিধাবাদীদের দাপটে প্রকৃত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা কোনঠাসা। এ কারণে বন্দরে তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন জামাত-শিবিরের নেতাও সভাপতি প্রার্থী হয়েছে, এদের মত হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীর জন্যই দলের সাংগঠনিক অবস্থা দূর্বল।

অপর দিকে, বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামীকাল ১৭ জুন। সম্মেলের নির্ধারিত স্থান হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়। এই সম্মেলনে সভাপতি পদে নুরুজ্জামান ছাড়াও রয়েছে জাকির হোসেন পনির।

নুরুজ্জামান জানান, ২০০৩ সালে বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। জামাত-শিবিরের কানেকশনের বিষয়ে তিনি জানান, আমার তাদের সঙ্গে কোন সস্পর্ক নেই, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আমার ফেসবুক আইডি থেকে কীভাবে পোষ্ট গুলো শেয়ার হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি তখন ফেসবুক সম্পর্কে তেমন বুঝতাম না, আমার হয়তো বউ, সন্তান বা বাড়ির কেহু ফেসবুকে পোষ্ট দিতে পারে। আমাকে যদি জামাত-শিবিরের সঙ্গ সম্পৃত্তা দেখাতে পারে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিবো।

এবিষয়ে জানতে চেয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *