বন্দরে কদমতলীতে পানি নিষ্কাশনের কাজ করতে গিয়ে আসামি হলেন ওসমান নামে এক ব্যাক্তি।
রোববার (২ এপ্রিল) বন্দর উপজেলার কদমতলী এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কদমতলী এলাকায় চলাচলের রাস্তায় নোংড়া ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পেরিয়ে এই এলাকার বাসিন্দাদের চলাচল করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হোক আর না হোক-এই চলাচলের জলাবদ্ধতা ‘বারো মাসের’। জমে থাকা ময়লা পানি পেরিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে পীর মোহাম্মদ বাড়ি থেকে কাজল দেওয়ান এর বাড়ির সামনে সব সময় পুকুরের দুর্গন্ধ ময়লা পানি জমে থাকে। কাজল দেওয়ান এর বাড়ি ঘেষেই কদমতলী জামে। পুকুরের পচা দুর্গন্ধ ও মলমুত্রযুক্ত পানি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ বাসাবাড়ির তাদের পায়খানার পানি ড্রেনে যুক্ত করছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে পানি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে। ডুবে গেছে পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতেও ঢুকেছে পানি। এসব এলাকার কয়েক শ পরিবার এখন ঘরবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষেরা দুর্ভোগ সঙ্গী করেই পানি পেরিয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে।
ওসমান জানান, এখানে সব সময় ময়লা দুর্গন্ধ পানি জমে থাকে। মানুষ নামাজ পড়তে যায় এই পানি পেরিয়ে, ডুবে গেছে পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়িতেও ঢুকেছে পানি। এই পানি নিষ্কাশনের জন্য এখানে প্রায় ৯৩ হাজার টাকা খরচ করে ৮ ইন্সি পাইব দিয়ে ড্রেনের ব্যবস্থা করেছি। ৯৩ হাজার টাকার মধ্যে ৪৩ হাজার টাকা স্থানীয় এলাকাবাসী দিয়েছে। কিছুদিন আগেও ড্রেনের পাইব ময়লা জমে ভরে গেছে। ওই সময়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ড্রেনের পাইব ঠিক করেছি এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য বরিং করে পাইব বসানোর কাজ চলছে। আমি এলাকার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি তারপরও আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে।
তিনি আরও জানান, ময়লা দুর্গন্ধ পানি থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী সব সময় সহযোগিতা করলেও তাইজুল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম কোন সহযোগিতা করে না। কিন্তু তার বাড়ির মলমুত্র জোরপূর্বক ওই পাইব দিয়ে ফেলে। যার ফলে কিছুদিন পরপর ড্রেনের পাইবে ময়লা জমে যায়। পাইব পরিস্কার করার জন্য টাকা চাইতে গেলে সবাইকে গালমন্দ করে। এছাড়াও রহিমা বেগমের ছেলে রিয়াদ ও সানি এলাকায় বহু অপকর্ম করে যাচ্ছে। সামাজিক কাজেও প্রতিনিয়তই বাধা প্রদান করছে। এর ধারাবাহিকতায় গত কযেকদিন আগে আমার নামে বন্দর থানায় অভিযোগ করেন। আমি নাকি রহিমা বেগমকে মারধর করছি। কিন্তু এলাকায় প্রতিটি মানুষের কাছে খবর নেন এখানে অপরাধ কার।
আব্দুল করিম জানান, ওসমান ভাই তার নিজের টাকা খরচ করে ড্রেনের ব্যবস্থা করেছ। আমরার এলাকাবাসী যতটুকু পারি টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করি। কিন্তু ওই মহিলা এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য কোন টাকা পয়সা দেয় না। বরং পানির পাইব ময়লা করে রাখে। ওসমান ভাই তার নামেও মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *