নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভুয়া ওয়ারিশ দাঁড় করিয়ে মিটিশন তৈরি করে ফসলি ও বসতি জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে ভূমিদস্যরা। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা, হামলার শিকার হচ্ছে প্রকৃত জমির মালিকরা। সম্প্রতি বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে নারায়গঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি দস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা কোন দলের নয়, কারো কোনো আত্মীয় হতে পারে না। ভূয়া ওয়ারিশের মাধ্যমে অন্যের জায়গা দখল করছে ভূমিদস্যুরা। তাদেরকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সঠিক ও কঠোর ভূমিকা রাখার জন্য নির্দেশ দেন এমপি সেলিম ওসমান। এরপরও থেমে নেই বন্দরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনা। এমনই একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর কলাগাছিয়া ২ নং মাধাপাশা এলাকায়। স্থানীয় মৃত হাজী জয়নাল আবেদীনের প্রায় ৫০ শতাংশ ফসলি জমি ভুয়া ওয়ারিসের মাধ্যমে ওয়ারিশেন মাধ্যমে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলের চেষ্টা চালিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী আলাউদ্দিন ও ভেন্ডার ইমরান গংদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মৃত হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে শাহজাহান ভূমিদস্যদের হাত থেকে ফসলি জমি রক্ষা সহ পাওয়ার আশায় নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন যার নং ৮৬ /২৩ । এছাড়া তিনি বানোয়াট ভূয়া মিটিশন বাতিলের জন্য বন্দর সহকারি ভূমি কমিশনার এর কাছে গত ২ রা মে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আদালতে মামলা ও ভূয়া মিটিশন বাতিলের আবেদন করায় ভূমিদস্যদের হুমকির মুখে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জমির মালিক শাহজাহানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। ভূমিদস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী আলাউদ্দিন ও ভেন্ডার ইমরান গংদের কারণে ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে পারছে না শাহজাহান ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে এমপি সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় দিনমজুর কৃষক শাহজাহান। এ ব্যাপারে জমির মালিক কৃষক শাজাহান কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে আমার বাবা মৃত হাজী জয়নাল আবেদীন ৮১৮০ ও ৩৮০৩ দুই দলিল মূলে মৃত আব্দুল মসজিদের কাছ থেকে ৬৩ শতাংশ কৃষি জমি ক্রয় করে পৈতৃক সূত্রে আমি ও আমার অন্যান্য ভাই-বোনেরা এই জায়গায় প্রায় ৪৫ বছর যাবত কৃষি কাজ করে আসছি। সম্প্রতি ফরাজী কান্দা এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী আলাউদ্দিন মিয়া ও এলাকার ফজলু মিয়ার ছেলে ভেন্ডার ইমরান গং ভূযা বানোয়াট ওয়ারিশ এর মাধ্যমে মিটিশন করে আমাদের জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে করে রেখেছে। এ ব্যাপারে আমরা আদালতে মামলা ও মিটিশন বাতিলের জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করেছি। দখলকারীরা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে ও তাদের লালিত পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছে এবং জমিতে আমরা যাতে চাষাবাদ করতে না পারি সেজন্য তারা জমির সামনে পাহারা বসিয়েছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *