নারায়ণগঞ্জ বন্দর জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বেশি জমা টাকা ফেরত পেতে বন্দর জেনালের হাসপাতাল ঘেরাও করেছে গ্রাহকেরা।

বুধবার (২৯) মার্চ সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে বন্দর জেনালের হাসপাতাল ঘেরাও করে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।

হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর অপারেশন তছলিম সহ বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসেন। গ্রাহকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হঠাৎ বন্দর জেনারেল হাসপাতালে পরিচালক নিপু দাস প্রবেশ করতে দেখামাত্র বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা হাসপাতালে প্রবেশ করে ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর জেনারেল হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: সভাপতি নিপু দাসকে হাসপাতালে আনা হয়। গ্রাহকদের টাকার বিষয় নিপু দাসের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও কোন সমাধান দিতে পারেনি। তবে গ্রাহকদের মূল টাকা দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেন বন্দর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর অপারেশন তছলিম।

গ্রাহকরা জানান, বন্দর জেনারেল হাসপাতাল দেখিয়ে প্রায় ৩ হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষুদ্রঋণের নামে গ্রামের সহজ-সরল লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার আমানত আদায় করা হয়েছে। আমরা টাকা চাইতে গেলে নিপু দাস টালবাহানা করার ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আজ নয় কাল বা পরশু টাকা দিয়ে দিবে বলে গ্রাহকদের হয়রানী করে। নিপু দাস বলে ওই খানে জমি কিনছে, জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিবো। এরকম করতে করতে প্রায় ৮ মাস হলেও গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেনি। বরং তাদের বিভিন্ন সময় মামলা ভয়ভীতি দেখান।

এ বিষয় বন্দর জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিপু দাস বলেন, মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: এটি আমার বোন জামাই দিলীপ পরিচালনা করেন। তিনিই সব কিছু দেখেন, আমি এবিষয় কিছুই জানি না। কিন্তু বন্দর জেনারেল হাসপাতালের নামেও যে টাকা নিয়েছে তা আমি আজকে শুনলাম। সমিতির লাইন্সে আমার নামে কিন্তু আমি আমার বোন জামাইকে চালাতে দিয়েছি। আমার মা মারা গেছে কয়েকদিন হলো, আমার মায়ের শ্রাদ্ধ শেষ করে গ্রাহকের টাকার ব্যবস্থা করে দিবো বলে জানান।