বন্দর নগর পঞ্চায়েত কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) রাত ৯টায় বন্দরের ঐতিহাসিক সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের ২য় তলায় এ সভা অনুষ্টিত হয়। কমিটির সভাপতি মিয়া খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এড.পাভেল খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়মিত সভায় নির্ধারিত এজেন্ডার ফলপ্রসু আলোকপাত করা হয়।
সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিউল্লাহ মিয়া বাবুর সঞ্চালনায় নিয়মিত সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর নগর পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি কাজী শহীদ আহাম্মেদ,আবুল কালাম আজাদ,কাজী বাছির,কাজী বাদল,শ্রী শংকর দাস,অর্থ সম্পাদক ইমামউদ্দিন খান, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক খান সোহেল,সহ-আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মইনুদ্দিন মঈন,সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজউদ্দিন সজিব,ক্রীড়া সম্পাদক নিপু দাস ও নিরঞ্জন দাস।
এছাড়া এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম সেলিম দেওয়ান,আতাউর রহমান ওদুদ,সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া শাহিন,শেখ হাসান আলী,আনিসুর রহমান মাষ্টার,প্রচার সম্পাদক মানিকুর রহমান,সহ-অর্থ সম্পাদক শেখ হোসেন আলী,সদস্য কামালউদ্দিন মিন্টু, মোঃ মামুন,রঞ্জিত দাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
সভায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এড.পাভেল খান বলেন, আমরা মিলেমিশে এলাকাকে সুন্দর করবো। দল যার যার পছন্দের থাকতে পারে। ভোটের বেলায় যার যার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতেই পারেন। কাজেই দল যার যার পঞ্চায়েত সবার। এই কথাটি মনে রাখতে হবে। সমাজটাকে মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে হলে আগে আমাদেরকে যার যার ঘর থেকে এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আপনি আপনার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন দেখবেন সমাজও ঠিক হয়ে গেছে। যদি নিজে না পারেন তাহলে পঞ্চায়েতকে জানাবেন। ইদানীং বন্দর গার্লস স্কুলের মোড় হতে সিএসডি গেইট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে স্কুলগামী ছাত্রীদেরকে উত্ত্যক্ত করতে দেখা যায়। দিন দিন বখাটেদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। শক্ত হাতে এদেরকে দমন করতে হবে। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে এই জোনগুলোতে পুলিশী তৎপরতার জন্য বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জসহ মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সহ-সভাপতি কাজী শহীদ আহাম্মদ বলেন,দেশে ডেঙ্গু ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় জননিরাপত্তা জরুরী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। অথচ ২২নং ওয়ার্ডে এ নিয়ে আইওয়াশ করা হয়েছে। শুধুমাত্র প্রধান সড়কে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়েই তারা খালাশ। ধোঁয়া উপরে উঠে যায়। এসব ধোয়া এডিশ মশা নিধনে কোন কাজে আসেনা। ওয়াশার পানি পাওয়া যায়না। রাত জেগে পানি সংগ্রহ করতে হয়। না করতে পারলে না খেয়ে মরার উপক্রম। এ থেকে প্রতিকার প্রয়োজন। সভায় নগর পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *