বন্দর মুখফুলদীতে মুন্নাকে কুপিয়ে আহত, আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে মুখফুলদী এলাকায় মুন্না নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার ছোনখোলা এলাকায় পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ছোনখোলা পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তরা অভিযোগ করেন বলেন, যে সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে কুপিয়ে আহত করেছে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছ। কিন্তু মামলার আইয়ূ মহসিন মিয়া তাদের গ্রেফতার করছে না। বরং আসামিদের গ্রেফতারের করতে হলে তিনি মোটা অংকের টাকা দাবি করে বলে জানান।
বক্তরা আরও অভিযোগ করে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা পঞ্চায়েত কমিটির কাছে বহুবার বিচার দিয়েছি কিন্তু বিচার পাইনি, যার মূল নায়ক মালেক সরদার। তিনিই মূলতঃ এসব অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। এসময় অবিলম্বে চিহৃিত এ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ছোনখোলা পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, আহত মুন্নার পিতা রফিকুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, বাচ্চু, আবুল, মতিন, নুর হোসেন, পারভেজ, আব্দর রহমান, মিজান, মাসুম, জাহাঙ্গীর, কাউছার, গুলজান, আমান ও সজিব।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বন্দর উপজেলার মুখফুলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুখফুলদী নয়ানগর এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা জুনায়েদ (১৮), একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সিয়াম (১৬), নবী হোসেন মিয়ার ছেলে ইফরান, শাখাওয়াত মিয়ার ছেলে ফাহাদ (২০), মোক্তার মিয়ার ছেলে অন্তর (১৮), ইসমাঈল মিয়ার ছেলে শুভ (২৪), আনোয়ার (৫০), মালেক সরদারের ছেলে আল ইসলাম (৫০) ও ৮/১০জনকে ও অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা মুন্নাকে পথরোধ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত বিবাদীরা মারধর সহ এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মাটিতে পড়ে গেলে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণের চেইন নিযে যায় এবং একটি মোবাইল ভাঙচুর করে। মুন্নার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত মুন্নাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।