বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস যেন ঘুষ-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না, নড়ে না কোন ফাইল। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের মূল্য তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড ও কাগজ সরবরাহের নির্ধারিত সময়ের উল্লেখ কেবলই লোক দেখানোর। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও আবার বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্ত্বেও ঘুষ না দিলে প্রকৃত ভূমি মালিকদের হতে হয় হয়রানির শিকার।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভূমি অফিসের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্যের ভয়াবহ চিত্র। জমির বৈধ মালিক যেই হোন না কেন, চাহিদা মত টাকা দিলেই কাজ হয়ে যায়। আর এসব কাজের জন্য ভূমি অফিসে সরকারি কর্মচারি ছাড়াও অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। এসব ফাইল জনির নিয়ন্ত্রণেই থাকে এবং রাশেদ নামে এক অফিস সহকারিকে দিয়ে দরকষাকষি করিয়ে কাজ করায় কর্মকর্তা আতাউর রহমান। একটু এদিক-সেদিক হলেই নানা অযুহাত দেখিয়ে নামজারির প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
জানা গেছে, জমির নামজারি করতে সরকারের নির্ধারিত ফি ১১০০টাকা। কিন্তু ওই অফিসগুলোতে ই-নামজারি করতে লাগে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া ‘খ’ তালিকাভুক্ত জমির নামজারির ক্ষেত্রে খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এসব অনিয়মের বেড়াজালে প্রতিনিয়ত সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দলিলপত্র ঠিক থাকলে টাকার পরিমাণ কম হাঁকা হয়। একটু এদিক-সেদিক হলে আর রক্ষা নেই, কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলেও নিস্তার মেলে না।
এর আগে রোববার ৪ জুন মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়াপর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ছে। যা এখনও ফেসবুক ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে, বিভিন্ন কমেন্স মন্তব্যও করছে।
এ বিষয়ে মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, ঘুষ বাণিজ্যের বিসয়টি মিথ্যা ভাই, আমি নামাজে যাবো।
ঘুষ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল এর বিষয় বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মনিষা রানী কর্মকার জানান, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আমি দেখেছি এবং আজ সকালে সরেজমিনে গিয়েছি। সেখানে সিসি ফুটেজ দেখেছি কিন্তু ভিডিও সঙ্গে মিল নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *