মাটিরাঙ্গায় সাড়ে ১০লাখ টাকার ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার কীট,সহ ৬জন গ্রেফতার মাইক্রোবাস জব্দ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে আসা ৩ হাজার ৯শ’ পিস ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ভারতীয় কীট, ৯৮ পিস ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ভারতীয় এ্যাম্পুল, সহ ছয়জন আসামী ও একটি মাইক্রোবাস (নোহা) আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং)দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম(বার)
এসময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, মাটিরাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মিল্টন ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো.শরীফ সহ সকল অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয়ের দক্ষ দিক-নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম(বার) এর নের্তৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মাটিরাঙ্গা থানার একটি চৌকস দল গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৩.৪০ ঘটিকার সময় মাটিরাঙ্গা থানাধীন মাটিরাঙ্গা পৌরসভা এলাকায় একটি পুরাতন সিলভার রংয়ের মাইক্রোবাস (নোহা) যাহার রেজিস্ট্রেশন নং- ঢাকা মেট্রো চ ৫৩-৫৫ মাইক্রোবাসটি তল্লাশীকালে গাড়ির পিছনের সিটের নিচ থেকে প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর ৩ হাজার ৯শ’ পিস ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ভারতীয় কীট ১টি লাল রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর ১টি কাগজের তৈরি বক্সে রক্ষিত ৯৮ পিস ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ভারতীয় এ্যাম্পুল, যাহার সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ১০,৫০,০০০/- (দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা
ছয় জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন-মোঃ মাঈনুদ্দিন (২৭)মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৯),মোঃ মহিন উদ্দিন (২৯), জাকির হোসেন (৩০)আনোয়ার হোসেন (২৮)মোঃ রবিউল ইসলাম।
মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো.শরীফ বলেন, আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে আসামীদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মশার কামড় জনিত কারনে ডেঙ্গু রোগ দেশে এক রকমের ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। আমরা প্রতিদিনই গণমাধ্যমের মারফত জানতে পারি ডেঙ্গু রোগে দেশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। যার ফলে হাসপাতাল গুলোতে গেলে দেখা যায় এই রোগের ব্যপকতা। চিকিৎসকরা রোগী নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কারন রোগীর চাপ অনেক বেশী । এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি অসাধু মহল অবৈধভাবে লাভের উদ্দেশ্যে এমন অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে আসছে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া এইসব ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ভারতীয় কীট নিয়ে আসছে যার সঠিক কার্যকারিতা নিয়ে আছে সন্দেহ। ফলশ্রুতিতে ভুল ফলাফলের কারনে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তাই নাগরিক সেবা সুনিশ্চিতে চোরাকারবারীরসহ যে কোন অপরাধ দমনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতাসহ সকল আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।