মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা বিতরণ
এই বর্ষায় সবুজে সাজি’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় সবুজের সমাহার গড়ে তুলতে রোপন করা হবে ১০ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা। রোপণ কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান মো. রহমত উল্যাহ ও মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়ার হাতে ‘গ্রিন গিফট’ তুলে দেয়ার মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
এরপরপরই সবুজায়নের জন্য মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মো: মোহতাসিম বিল্লাহ ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মঞ্জুর মোর্শেদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে গাছের চারা তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনিছুজ্জামান ডালিম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহমেদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক, তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান মো. পেয়ার আহম্মেদ মজুমদার, তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভুইয়া, আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি, মাটিরাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা ও বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ সহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জায়গাও খালি রাখা যাবেনা সে লক্ষে আমরা আমাদের চারপাশ সবুজের সমাহার ঘটাতে চাই। এ মৌসুমে মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করব। তিনি আরো বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিত্যক্ত ভুমি, আশ্রয়ন ও সড়কের পাশে ১০ হাজার ফলদ, ঔষধি ও বনজগাছের চারা লাগানোর মধ্য দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সবুজ অরণ্য গড়তে অবদান রাখবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য সবুজ মাটিরাঙ্গাকে আরো বেশি সবুজ দিয়ে ভরে তোলা হবে যাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় জনগণ সবুজের সমারোহ প্রানভরে উপভোগ করতে পারেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা বিপদকে মোকাবেলার জন্যও গাছের সবুজ বেষ্টনি নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি সবাইকে বৃক্ষ রোপন করার আহবান জানান।