ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের ২০ সদস্যের প্রধান অর্থনৈতিক গ্রুপের নেতাদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপাম কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনটি শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব শেষ হওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্যায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে সেলফি তোলেন। এসময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়।
১৮তম এই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত সকল জি-২০ প্রক্রিয়া এবং বৈঠকের চূড়ান্ত পরিণতি হতে চলেছে।পুতুল-বাইডেনকুশল বিনিময়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রীকন্যা পুতুলের সঙ্গেও কথা বলেন জো বাইডেন।
শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ নেতারা ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস), খাদ্য নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করবেন। এ দিন সকালে জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উপস্থিত হলে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুরে জি২০ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে জো বাইডেন ছাড়াও যোগদানকারী বিশ্ব নেতারা হলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *