রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নে মাত্র ১০০ টাকা মণ দর বিক্রি হচ্ছে ঝরে পড়া আম। ঝড়ো বাতাসে গাছ থেকে পড়ে যাওয়া এইসব আমগুলো মাত্র আড়াই টাকা কেজি দরে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কোম্পানির লোকেরা ও পাইকাররা আচার বানানোর জন্য এই আম কিনে নিচ্ছেন।
জানা যায়, গত বুধবার বিকালে ও রাতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রচন্ড ঝড় হয়। ঝড়ে এই ইউনিয়নের বেশ ক্ষতি হয়। সাধারন মানুষের বাড়ির গাছ ও বাগানের গাছ থেকে অনেক আম ঝরে পড়ে গেছে। সেই আমগুলো কুড়িয়ে তারা বস্তাভর্তি করে উপজেলার বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন। সেখানেই স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কোম্পানির প্রতিনিধি ও পাইকাররা প্রতিমণ আম ১০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন।
আম বিক্রেতা রাজিব বলেন, আমি ভ্যান চালক। বাজারে ব্যবসায়ীরা বেশি দাম দিয়ে গুটি জাতের আম কিনে নিচ্ছেন। আর ঝড়ে পড়া আমের বেশি দাম দিচ্ছেন না। প্রতিকেজি মাত্র আড়াই টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন। আমি ঝড়ের সময় অন্যের বাগান থেকে ৩ মণ আম কুড়িয়ে পেয়েছি। সেই আম ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি।
উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের বাগান মালিক জহুরুল ইসলাম বলেন, এবছর আমার বাগানে প্রচুর পরিমানে আম এসেছে। ঝড়ের কারণে অনেকগুলা আম ঝরে পড়েছে। সেই আম গ্রামের মানুষ কুড়িয়ে নিয়ে ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন।
আম ব্যবসায়ী নাজিমুল ইসলাম বলেন, আমি অনেকদিন যাবত আমের ব্যবসা করছি। ঝড়ে পড়া আম কিনে ঢাকা ও বিভিন্ন কোম্পানিতে সরবরাহ করে থাকি। এই আমগুলো ঝড়ের সময় গাছ থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছে। এগুলো পাকবে না। দীর্ঘদিন রেখে দিলে পচে যাবে। তাই আচার বানানোর জন্য ব্যবহার হবে। বর্তমানে প্রতি মণ ১০০ টাকা দরে ক্রেতাদের কাছে থেকে ক্রয় করেছি।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, চলতি বছর বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছ। কিুছদিন আগের প্রচন্ড তাপের কারণে আমের বোটা শুকিয়ে গিয়েছিল। তাই ঝড় আসতেই অনেক আম পড়ে যায়। এই আমগুলো কুড়িয়ে গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে ও বাজাগুলোতে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ঝরে পড়ায় আম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই আম পাকবে না। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আচারের জন্য কম দামে এই আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।