সবুজ, সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এই রাজশাহী শহর। যেখানে বইছে প্রতিনিয়ত বিশুদ্ধ বাতাস। নয়নাভিরাম এই শহরের বিভিন্ন রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লাইট। রাতের বেলা যার আলোয় মুগ্ধ হবেন যে কেউ!
এছাড়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে লাগানো হয়েছে সারি সারি সবুজ গাছ, যেখানে রয়েছে অসংখ্য ফুলের সমাহার। সবমিলিয়ে এই শহরে ফুটে ওঠেছে সৌন্দর্যের লাবণ্যতা। আর এই লাবণ্যতাকে আরো বেশি শোভিত করতে রাজশাহীতে নির্মিত হয়েছে প্রথম ফ্লাইওভার।
মহানগরীর মেহেরচণ্ডি এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ এবং রাজশাহী-নাটোর সড়কের সংযোগ হিসেবে এই ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন ফ্লাইওভারের ওপরের অংশে কাজ চলছে। রাস্তার দু’পাশের ড্রেনের কাজও রয়েছে শেষ পর্যায়ে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ ও রাজশাহী-নাটোর চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা।
মেহেরচণ্ডি এলাকার ফ্লাইওভারের বিষয়ে প্রকল্পের ওয়ার্ক ম্যানেজার লুৎফর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, রেললাইনের দু’পাশে মোট ১২টি পিলার বসবে। রেললাইনের উত্তর পাশের ছয়টি পিলারের কাজ প্রায় শেষ। আর দক্ষিণ পাশে পিলারের পাইলিংয়ের কাজ চলছে।
ফ্লাইওভারের নিচের অংশ
তিনি গণমাধ্যমকে আরও জানান, ফ্লাইওভারের দুই পাশে চার লেনের সড়ক করা হবে। সড়কের দু’পাশে থাকবে ড্রেন। আর দু’পাশে ওভারপাস হবে ৮০০ মিটার। ফ্লাইওভারের ভেতরের অবশিষ্ট জায়গায় আরও বেশি সুসজ্জিত করা হবে।
রাসিকের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। একইসঙ্গে এগিয়ে চলেছে চার লেন সড়কের নির্মাণকাজও।
খুব শীঘ্র চালু হতে যাচ্ছে এই ফ্লাইওভারটি। যানজট নিরসনে চার লেনের সড়ক ও ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে রাজশাহী হবে যানজটমুক্ত শহর। কাজের গতি ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হবে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।