রাজাকারপুত্র মাকসুদের ছায়াতলে থাকা সেলিম মাহমুদকে বন্দর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব ঘোষণা করায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোস ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির অঙ্গ সংগঠন থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের মাঝেও চলছে সমালোচনা। দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা পদবঞ্চিত হওয়ায় ত্যাগীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি রাজাকারপুত্র মাকসুদ ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ’র একজন সক্রিয় কর্মী এবং খুবই আস্থাভাজন। পুরোদম্ভর একজন জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে পরিচিত মুছাপুরে। রাজাকারপুত্র’র পরিবারের ছায়াতলে থেকে নানা কুকর্ম করছে নবগঠিত বন্দর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সেলিম মাহমুদ। এমনকি রাজাকার নাতী মাহমুদুল হাসান শুভর হোন্ডা বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা, মামলার শিকার হলেও সেলিম মাহমুদ ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ ও মাহমুদুল হাসান শুভ’র ছায়াতলে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদের সহযোগী সেলিম মাহমুদকে বন্দর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বিগত সময় ধরেই মাকসুদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে যার হাজারও প্রমাণ রয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও রাজাকারপুত্র মাকসুদ ও রাজাকার নাতী শুভ’র সঙ্গেও একাধিক ফেস্টুন রয়েছে। এছাড়াও প্রকাশ্যে মাকসুদ চেয়ারম্যানেরও নির্বাচন করেছে। সেই সঙ্গে নানা অপকর্মও করে যাচ্ছে। তাকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন বন্দর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব ঘোষণা করায় দলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামূল হক খন্দকার স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুউদ্দিন মাহমুদ ফয়সালের যৌথ স্বাক্ষরে ফারুক মিয়াকে আহ্বায়ক এবং সেলিম মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পূণাঙ্গ কমিটি করে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।