রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার বিভাগের ১২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে অধ্যাপক এ.বি.এম. হোসেন ও অধ্যাপক শাহানারা হোসেন বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ২০২০ সালের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ বৃত্তি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মরহুম ইমেরিটাস অধ্যাপক এ.বি.এম. হোসেন ও ইতিহাস বিভাগের মরহুম অধ্যাপক শাহানারা হোসেনের পুত্র ড. মুঈন মাহমুদ হোসেন।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানা, সানজিদা নওরীন ও কানিজ ফাতেমা, ইতিহাস বিভাগের মোসা. আদিলা আক্তার নীপা, বাদশা রহমান ও নিগার সুলতানা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. নূর হোসেন, তামজিদা সুলতানা ও আহসান উল্লাহ এবং ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ফেরদৌসী আক্তার, চয়ন কুমার মণ্ডল ও মো. আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় ড. মুঈন মাহমুদ হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মরহুম ইমেরিটাস অধ্যাপক এ.বি.এম. হোসেন ও অধ্যাপক শাহানারা হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় অনুপ্রাণিত করা এই বৃত্তির অন্যতম উদ্দেশ্যে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার এই উদ্যোগ অন্যান্য শিক্ষাহিতৈষী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকেও মেধা লালনে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, কলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. ফজলুল হক, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আহমদ খান প্রমুখ। এছাড়া অর্থনীতি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।