নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী শাকিল(২১) ও সদর মডেল থানার সালাউদ্দিন কালু হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ সোহান (২৮)’কে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ফতুল্লা থানার পাঠানতলী ও সদর থানার খানপুর এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুর ২টায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার, সিনিঃ সহকারী পরিচালক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জুলাই জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাঠানতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী শাকিল(২১) ‘কে গ্রেফতার করে। ঘটনা সূত্রে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী শাকিল ভিকটিম লামিয়াকে অপহরণ করে ৩ দিন নিজ হেফাজতে রেখে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে আসামী পুলিশ কর্তৃক আটক ও ভিকটিম উদ্ধার হলে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী আদালত কর্তৃক জামিনে বের হয়ে পরবর্তীতে আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে পলাতক থাকে। অতঃপর আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী শাকিল (২১), পিতা-মোঃ ইদ্রিস আলী, মাতা- সেলিনা বেগম, সাং-তল্লা পানির পাম্প মসজিদ সংলগ্ন বেলতলা, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী শাকিল (২১) এর পিসিপিআর যাচাই করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে একই থানায় গণধর্ষণ ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপর একটি পৃথক অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন খানপুর এলাকা হতে হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ সোহান (২৮)’কে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনা সূত্রে ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহান ও তার সহযোগীরা মিলে পরিকল্পিত ভাবে নিহত ভিকটিম সালাউদ্দিন কালু(২৮) কে হত্যা করে লাশ গোপন করে ফেলেন। হত্যার পর আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে নিজেরা আত্মগোপন করে পলাতক থাকে। পরবর্তীতে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী মোঃ সোহান (২৮), পিতা-সাইজ উদ্দিন, মাতা- হাসনারা, সাং-নতুন-২৭, পুরাতন-২০, ব্রাঞ্চ রোড, থানা-সদর, জেলা – নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহান (২৮) এর পিসিপিআর যাচাই করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে একই থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাকিল কে জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় এবং মোঃ সোহান কে সদর মডেল থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
