নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জুম্মন (২৭) ও ফতুল্লার গণধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত রাসেল (৪২)’দ্বয়কে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) জুম্মনকে বন্দর উপজেলার সল্পেরচক ও রাসেলকে নবীগঞ্জ ঘাট এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।
একই দিন রাত ১০ টায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার, সিনিঃ সহকারী পরিচালক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ পৃথক দুইটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র‍্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জের একটি আভিযানিক দল ২৩ আগস্ট ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ জেলার বন্দর থানাধীন সল্পেরচক এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ জুম্মন (২৭) কে গ্রেফতার করে। এর আগে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা মোতাবেক ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০/- টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে ১ (এক) মাসের বিনাশ্রম করাদন্ডে দন্ড প্রাপ্ত হওয়ায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী মোঃ জুম্মন (২৭), পিতা- মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মাতা- মোশারা @ মোরশেদা বেগম, সাং-বন্দর (হাফেজীবাগ কবরস্থানের পাশে), থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জুম্মন বন্দর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
একই দিনে জেলার বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ ঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফতুল্লার গণধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী রাসেল (৪২) কে গ্রেফতার করে।
র‍্যাব আরো জানায়, ঘটনা সূত্রে ও প্রাথমিক অনুসন্ধনে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল ও তার সহযোগীরা মিলে ধর্ষিতা ভিকটিম (২৬) কে গণধর্ষণ করে অজ্ঞাত স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাষ্যমতে তিনি গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলে তার পিতা বাদী হয়ে জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৮ (১২) ১৯, ধারা- ৯ (৩) তৎসহ ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ দন্ড বিধি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩। মামলার পর আসামীরা আত্মগোপন করে ও পলাতক থাকে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে র‍্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী রাসেল (৪২), পিতা- সিরাজ, স্থায়ী সাং- মুক্তারকান্দী, থানা- মতলব উত্তর, জেলা- চাঁদপুর, এ/পি- সাং- দক্ষিণ শিয়াচর (মিলন ড্রাইভারের বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া), থানা- ফতুল্লা মডেল, জেলা- নারায়ণগঞ্জ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেলকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *