শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরে নবীগঞ্জ এলাকায় দ্বিতীয় দিনের অভিযানে আরো ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার ( ২৯ মে) বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিচালন ও নকশা) রবিউল আলম, উপ পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন, উপ সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোতালেব হোসেন, কারিগরী সহকারী (সার্ভেয়ার) রাশিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসময় ২টি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে দুটি ডকইয়ার্ডর নদী দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা,  ৫টি সেমিপাকা ঘর, পাকা দেয়াল, ড্রেজারের পাইপ সহ ৩৫ টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় নদীর এক কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রোববার প্রথম দিনের অভিযানে অন্তত ১৫ টি সেমিপাকা ঘরসহ ৪০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওইদিন নদীর দেড় কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফ গণমাধ্যমকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে দু’টি ডকইয়ার্ডের নদী দখলকৃত অংশে গড়ে উঠা স্থাপনা ছিল।

এ ছাড়াও নদীর তীর ভরাট কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের পাইপও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় প্রায় এক কিলোমিটার নদীর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।