রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়া এলাকায় সাবেক সেনা সদস্য নাজমুল ইসলাম সুমনকে কুপিয়ে শরীরের ২৪ স্থানে গুরুতর জখম করার ৯দিন পরেও মামলার প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।এখন মামলা তুলে নিতে আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে নানাভাবে দেওয়া হচ্ছে হুমকি-ধমকি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর একটি কনভেনশন সেন্টারে নির্যাতিত সাবেক সেনা সদস্য সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম এহিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন:
গত ৯ জুলাই বিকেলে প্রকাশ্য দিবালোকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মন-নৃশংসভাবে কুপিয়ে শরীরের ২৪ জায়গায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়।সুমনের দুই হাত ও দুই পায়ের রগ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয়া হয়।সে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,ঘটনার পরে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়।মামলাটি রাজশাহী ডিবিতে রয়েছে।মামলায় তিনজন আসামি গ্রেপ্তারও হয়।কিন্তু নৃশংস ঘটনার প্রধান কৌশলী শ্রমিক নেতা নুরুল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আহসানুল হক মাসুদসহ বাকী আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি।এখন আমার পরিবার প্রতিটা মুহুর্ত নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি,আসামিরা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে।সুমনের নাবালক বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়।আসামীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় পরিবারটি।এ সময় সুমনের মা ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমনের মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে বিচার দাবি করেন।
রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই বলেন,‘মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত হয়েছে।প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে ঢাকাতেও অভিযান চালানো হয়েছে।আসামিদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা।
