নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আশংকাজনক ভাবে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থতির চরম অবনতি ঘটেছে।উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক লাশ।প্রতিনিয়ত ঘটছে  চুরি,ছিনতাই আর ডাকাতির ঘটনা।সেই সাথে মাদকের বিস্তৃতি,পুলিশের সোর্স এবং  কিশোর গ্যাং’র উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বন্দর বাসী।অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় অসাধু  কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ড্রেজার সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের প্রকাশ্য মহড়ায় আতংকিত নিরীহ বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পুলিশের নিস্ক্রিয়তা,কর্তব্যে অবহেলা এবং বেপরোয়া ঘুষ  বানিজ্যকে  দায়ী করেছেন সচেতন মহল।তবে পুলিশের দাবী,থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

ফরাজি কান্দার শাওন জানান,নাসিক ২০ নং ওয়ার্ড দড়ি সোনাকান্দা ৩ গম্বুজ মসজিদের পাশে ভেকু দিয়ে  প্লটের বালু ভরাটের কাজ চলছে।তাদের বালুর স্তুপের প্রায় ২০০ গজ দূরে হান্ডুর ব্রীজের পাশে সরকারি মাটি কেটে বিক্রির জন্য স্তুপ করে রেখেছে পুলিশের সোর্স আজাহার।স্থানীয় ছিচকে সন্ত্রাসী ও পুলিশের সোর্স সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত রাতের অন্ধকারে ৩য় শীতলক্ষ্যা একেএম নাসিম ওসমান সেতুর নিচে এবং আশপাশের জমির মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে।

২২ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ ঘটিকার সময় কোনো রকম অভিযোগ ছাড়াই মদনগঞ্জ ফাড়ীর এসআই আরিফ হাওলাদার সোর্স আজাহার কে নিয়ে দড়ি সোনা কান্দা বিলে যায় এবং বালু ভরাটের কাজে ব্যাবহৃত ভেকু বন্ধ করে দেয়।পরে দেনদরবার করে চাহিদামতো উৎকোচ না পাওয়ায় ভেকু’র চাবী নিয়ে যায় এসআই আরিফ।পরবর্তীতে ভেকু’র মালিক বিষয়টি থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে জানান।তিনি এসআই আরিফকে মৌখিক সতর্ক করেন এবং চাবী ফেরত দিতে বলেন।গ্রেফতার বানিজ্যের সিদ্ধহস্ত এস আই আরিফ নিজে গিয়ে বেলা ১২ঃ০০ টার দিকে ভেকু’র চাবী ফেরত দিয়ে আসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানান,বর্তমান ওসি আবু বকর সিদ্দিক যোগদানের পর থেকে  চিহ্নিত গ্যাস ও মাটি চোর, সোর্স আজাহারের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে।সে নিজেকে ওসি’র দেশের আত্নীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিতে আসছে।প্রায়ই ওসি’র টেবিলের বাম পাশে বসে থাকতে দেখা যায় বহু অপকর্মের হোতা আজাহারকে।এমনকি আজাহারের কথায় অফিসারেরা  তদন্তে যান এবং তার কথামতো থানায় জিডি ও মামলা এন্ট্রি করা হয়।

স্থানিয়দের অভিযোগ,গত কয়েক মাসে থানা এলাকায় বেশ কয়েটি খুন ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।যা বিগত সময়ের তুলনায় আশংকাজনক।কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উল্লেখযোগ্য তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।থানা পুলিশের  বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যের কারণে  ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।সম্প্রতি আলোচিত ক্যাপ রোমান হত্যা মামলা নিয়ে গ্রেফতার ও ঘুষ বানিজ্যে মেতে উঠেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফ হাওলাদার।

কোনো রকম অভিযোগ ছাড়া এবং অফিসার ইনচার্জ’র অজান্তে বালুর কাজ বন্ধ করে দিয়ে ভেকু’র চাবী নিয়ে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে এসআই আরিফ হাওলাদার বলেন,এ বিষয় নিয়ে কোন কথা বলবো না, আমি ব্যাস্ত আছি,দরকার হলে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘বি’সার্কেল শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন,এ ঘটনা জানা নাই।তবে কোনো রকম অনিয়ম বা অসঙ্গতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।