নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শিশু কন্যা মেঘলা (৯) অপহরণ এর ২৪ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাব-১১ আদমজীনগর ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ হতে উদ্ধার করেছে। এসময় আপহরণকারী অনামিকা আক্তার@জিয়াসমিন@আছমা (২৮) ও জান্নাত (২২)’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ থানাধীন ইসমানিকচর এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার ও শিশু কন্যাকে উধার করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃতার পিতা আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে ধৃতদেরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং- ৩৭(৪)২৩, তাং- ১৯/০৪/২৩, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৮/৩০।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানাধীন চকপাড়া এলাকার মৃত আঃ কাসেম এর ছেলে মোঃ মোতালেব বর্তমানে না’গঞ্জ জেলার বন্দর ইউনিয়নস্থ কলাবাগ এলাকার আলামিনের বাড়ীতে স্ব পরিবারে ভাড়াটিয়া। একই বাড়ীতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ইসমানিকচর এলাকার ইসহাক মিয়ার মেয়ে অনামিকা আক্তার @জিয়াসমিন@আছমা (২৮) ও শরিয়তপুর জেলার ঘোষাইরহাট থানাধীন আনোয়ারাকাঠি এলাকার সুলতান সরকারের মেয়ে জান্নাত (২২) ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে শিশু কন্যা মেঘলা বাড়ীর সামনে থেকে অপহরণ হয়। পরে একটি মোবাইল ফোন হতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এ বিষয়ে অপহৃতার পিতা আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই কে এম মনিরুজ্জামান র‍্যাব-১১, আদমজীনগর এর সদস্যদের সহায়তায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার ইসমানিকচর এলাকা হতে শিশু কন্যা মেঘলাকে উদ্ধারসহ উল্লেখিত অপহরণকারীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

অপহরণে সহায়তাকারী অন্যান্ন আসামীদেরকে গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান। মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল ফোন অনামিকার কাছ থেকে জব্দ করা হয় বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।